সংবাদ সংস্থা মুম্বই: তাঁদের লেখা ২৫টি ছবির মধ্যেই ২২টি ছবি ইতিহাস তৈরি করেছিল বক্স অফিসে। 'শোলে', 'দিওয়ার', 'ত্রিশূল'-এর মতো একের পর এক জনপ্রিয় হিন্দি ছবির গল্প ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন সেলিম খান ও জাভেদ আখতার। এরপর হঠাৎই আটের দশকের প্রথমার্ধে হঠাৎই একদিন ভেঙে যায় তাঁদের জুটি। কেন ভেঙেছিল এই জনপ্রিয় জুটি, আজও তার কোনও সদুত্তর নেই। তবে এই জুটির ভেঙে যাওয়া বাঁচাতে পারতেন অমিতাভ বচ্চন, কিন্তু তিনি তা করেননি। এবার এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খোদ সেলিম খান!
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেলিম জানান, কেন তাঁর আর জাভেদের জুটি ভেঙে গেল- এ প্রশ্নের উত্তর আজও তাঁর নিজের কাছে পরিস্কার নয়। তিনি আরও জানান, একদিন সকালে জাভেদ আখতার এসে জানিয়েছিলেন যে তিনি এবার থেকে পৃথকভাবে কাজ করতে চান। শুনে ভারি অবাক হলেও পাল্টা কোনও প্রশ্ন করেননি সেলিম খান। সম্মতি দিয়েছিলেন। "বলেছিলাম, বেশ।কোনও সমস্যা নেই। করো আলাদাভাবে কাজ। এবার কেউ আলাদা হতে চাইলে আর কীই বা বলতে পারি... তাঁকে তো আর সঙ্গে থাকার জন্য জোর করা যায় না। আজ পর্যন্ত জানি না কেন আমাদের জুটিটা ভেঙে গেল"।
সামান্য থেমে সেলিম খান আরও জানান, আমাদের এই জুটির ভাঙ্গন টা আটকাতে পারতেন একমাত্র অমিতাভ বচ্চন সেলিং সাহাবের কোথা থেকেই এই ইঙ্গিত স্পষ্ট হল যেহেতু তাদের লেখা বহু জনপ্রিয় ছবির গল্পে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ তাই তাদের সঙ্গে অত্যন্ত হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিল শাহেনশাহ র। কিন্তু তিনি এগিয়ে আসেননি!
"আমি যদি ওঁর (অমিতাভ বচ্চন) জায়গায় থাকতাম তাহলে ওঁকে (জাভেদ আখতার)কে এটা বোঝাতাম যে এই জুটি ভেঙে দিও না। আর কেনই বা ভাঙবে যেখানে বাজারে তোমাদের এত জনপ্রিয়তা? যেখানে তোমাদের কাজ দর্শট এত পছন্দ করছেন? অমিতাভ বচ্চনের জায়গায় থাকলে জাভেদকে এটাই বলতাম আমি...", বললেন সেলিম খান।
সম্প্রতি, মুক্তি পেয়েছে সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের জীবন ও তাঁদের কর্মকান্ড নিয়ে তৈরি হওয়া তথ্যচিত্র ‘দ্য অ্যাংরি ইয়ং মেন’। এই তথ্যচিত্রে তাঁদের জীবন, লেখা, ছবি তৈরির নানা অজানা গল্পের কথা তুলে ধরা হলেও কেন তাঁদের বিখ্যাত জুটি আলাদা হওয়ার পথ ধরেছিল, সেই বিষয়ে কোনও কিছু স্পষ্টভাবে বলা হয়নি।
