আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরেই ৫০০ টাকার নোট নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। তবে এবার সেই সমস্যার সমাধান হল। কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ টাকার নোট বন্ধ করা বা তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই করেনি বলে জানিয়ে দিল। উল্টে এবার থেকে দেশের প্রতিটি এটিএম থেকে ৫০০ টাকার নোট আরও বেশি মিলবে বলেই খবর মিলেছে।


শুধু ৫০০ টাকা নয়। এবার এটিএম থেকে ১০০ এবং ২০০ টাকার নোট বেশি মিলবে। আরবিআই ইতিমধ্যে ১০০ এবং ২০০ টাকার নোট নিয়ে বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে। সেখান থেকে দেশের প্রতিটি এটিএমে বেশি করে ৫০০, ২০০ এবং ১০০ টাকার নোট মিলবে বলেই খবর মিলেছে।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পাখির চোখ ‘অপারেশন সিঁদুর’, থাকছে কোন নতুন চমক


রাজ্যসভায় মন্ত্রী জানিয়ে দেন দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরবিআই আরও বেশি করে খুচরো টাকার লেনদেন করতে চায়। ফলে সেখান থেকে এটিএমে যদি বেশি করে খুচরো পাওয়া যায় তাহলে সেটি বাড়তি সুবিধা হবে। দেশের প্রতিটি ব্যাঙ্কের কাছে ইতিমধ্যে এবিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশের ৭৫ শতাংশ এটিএমে ২০০ এবং ১০০ নোট বেশি করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে এই শতাংশের হার বেড়ে হবে ৯০। সেখানে দেশের বেশিরভাগ এটিএম থেকে ৫০০ নোট কমিয়ে দিয়ে সেখান থেকে ২০০ এবং ১০০ নোট বেশি করে রাখা হবে।


গত অর্থবছরে সেবি ৯৪৯.৪৩ কোটি টাকা ডিসগর্জমেন্ট থেকে আদায় করেছে। ডিসগর্জমেন্ট বলতে বোঝায় শেয়ারবাজারে অনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্জিত বেআইনি লাভ আইনত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া।


ভারতীয় আইনে প্রতারণা ও জালিয়াতি দণ্ডনীয় অপরাধ। বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণা প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করছে।


অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবেলায় অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলিও কাজ করছে। কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ড গত পাঁচ বছরে নয়টি মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কেলেঙ্কারির ঘটনা চিহ্নিত করেছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে প্রায় ২২০টি মানি-লন্ডারিং সংক্রান্ত কেস তদন্ত করেছে। ক্রিপ্টো সম্পদ বর্তমানে ভারতে নিয়ন্ত্রিত নয়, এবং আরবিআই পোর্টালে অনিবন্ধিত সংস্থাগুলির দ্বারা বেআইনি অর্থ সংগ্রহ সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে।


১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ প্রকল্প থেকে টাকা আদায়ের পর তা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে প্রায় ৩,৪৫৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। আরেকটি ১,৫৩১টি অভিযোগ জমা পড়ে MLM, ডাইরেক্ট সেলিং এবং পনজি স্কিমের মাধ্যমে টাকা আদায়ের বিষয়ে।


তবে বিগত কয়েকদিন ধরে বাজারে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে খানকিটা ভুল খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল যে তারা এমন কিছু করছেন না। ফলে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে যে ভুল তথ্য বাজারে চলছিল তার সমাধান হল। সেখান থেকে দেখতে হলে বাজারে ৫০০ টাকার নোট যেমন এতদিন ধরে কাজ করছিল তেমনটাই করবে।