আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি মরশুমে সবচেয়ে কঠিন ডার্বি। শুধুমাত্র খেলার নিরিখে নয়, মাঠের বাইরের ঝামেলায় জন্য। এএফসিতে খেলতে না যাওয়া নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি চরমে। ক্ষোভ উগরে দেওয়া হচ্ছে ফুটবলারদের ওপরও। এই অবস্থায় কলকাতা ডার্বি খেলা মোটেই সহজ নয়। তাও আবার শিল্ড ফাইনাল। ইউনাইটেড ম্যাচের পর যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মনোসংযোগ ধরে রেখে আরও একটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ খেলা ফুটবলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে শুভাশিস বসু মনে করেন, বিরূপ পরিস্থিতি সত্ত্বেও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ যথেষ্ঠ ভাল। যাবতীয় ঝামেলা ভুলে সমর্থকদের পাশে চাইলেন বাগান অধিনায়ক। 

গতবছর মোহনবাগানের অন্যতম সফল মরশুম। এই সাফল্যে অবদান রয়েছে সমর্থকদেরও। এবার আরও একটি সাফল্য পাওয়ার লড়াইয়ে ফ্যানদের পাশে পেতে চান। শুভাশিস বলেন, 'প্লেয়ার হিসেবে সবসময় চাই মাঠে এবং মাঠের বাইরে ফ্যানরা সাপোর্ট করুক। আমরা ফুটবল খেলি সমর্থকদের জন্য। আমাদের পাশে থাকলে বাড়তি সুবিধা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ড্রেসিংরুমের অবস্থা যথেষ্ট ভাল। শুধুমাত্র ফুটবলে ফোকাস করা দরকার। সমর্থকরা সাপোর্ট করে যাক। আশা করছি মরশুমের শুরুতে সাপোর্টারদের ট্রফি দিতে পারব।' 

সবুজ মেরুন সমর্থকদের জন্য বিশেষ বার্তা দেন শুভাশিস। তিনি মনে করেন, ফ্যানদের ছাড়া যাবতীয় সাফল্য অধরা। শুভাশিস বলেন, 'এতদিন আমরা যে সাফল্য পেয়েছি, তাতে শুধু প্লেয়াররা নয়, সমর্থকদেরও সমান অবদান ছিল। তাঁরা শুধু সাপোর্টার নয়, যোদ্ধা। আমরা একসঙ্গে ট্রফি জিতেছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একসঙ্গে সেলিব্রেট করেছি। সব পরিস্থিতিতে ফ্যানদের পাশে পেয়েছি। এবার মরশুম শুরুতে ট্রফি জিতে নতুন সূচনা করতে চাই।' আগের ম্যাচে খেলেননি শুভাশিস।‌ প্রথম ম্যাচে আহামরি পারফরম্যান্স ছিল না। তবে ডার্বির জন্য প্রস্তুত। শিল্ড ফাইনালে সামলাতে হবে ইস্টবেঙ্গলের নতুন জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশিকে। তবে বিপক্ষের কথা ভাবছেন না, ফোকাস নিজেদের দলে। শুভাশিস বলেন, 'সবাই ফাইনালে ফোকাস করছি। ওদের নিয়ে ভাবছি না। নিজেদের দলে ফোকাস করছি। আশা করছি আমরা অ্যাটাকিং থার্ডে সুযোগ তৈরি করতে পারব। দুই দলেই অনেক অভিজ্ঞ প্লেয়ার আছে। আমরা দল হিসেবে খেলব। আমি সবসময় নিজের সেরাটা দিই। বিপক্ষে যেই খেলুক না কেন, আমরা দল হিসেবে লড়াই করব।'

শুক্রবার বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস মাঠে শিল্ড ফাইনালের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চালায় মোহনবাগান। কঠোর অনুশীলনে নিজেদের ডুবিয়ে দেন কামিন্স, ম্যাকলারেন, পেত্রাতোসরা। দলের সঙ্গে অনুশীলন করেন মনবীর‌ সিংও। তবে শুরু করার সম্ভাবনা কম। হয়তো পরে নামতে পারেন। ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করতে চাইলেও, ফাইনালে টাইব্রেকারের প্রস্তুতিও সেরে রাখেন মোলিনা।‌ এএফসি নিয়ে চটে আছে সমর্থকরা। শান্তি ফেরাতে চাই ট্রফি। সেটা ভাল করেই জানেন শুভাশিসরা।