আজকাল আধুনিক জীবনযাপনে অল্পবয়সেই জাঁকিয়ে বসছে বিভিন্ন ধরনের জটিল অসুখ। সমাধান খুঁজতে শুধু ওষুধ নয়, কয়েকটি খাবারের ওপরও ভরসা রাখতে পারেন। আমাদের হাতের কাছে এমন অনেক খাবার কিংবা পানীয় রয়েছে যা নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তেমনই একটি পানীয় হল ব্ল্যাক কফি।
2
11
অনেকেরই এক কাপ কফিতে চুমুক না দিয়ে দিন শুরু হয় না। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কফিতে দেন চিনি, দুধ বা ক্রিম। যা কফির প্রাকৃতিক গুণ অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্ল্যাক কফি বা কালো কফি নিয়মিত পান করলে শরীরে নানা উপকার মেলে।
3
11
লিভারের জন্য সুরক্ষাকবচঃ ব্ল্যাক কফি লিভারকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস ও ফাইব্রোসিসের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করলে লিভার ক্যানসারের আশঙ্কাও কমে।
4
11
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফিন মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে। এতে মনোযোগ বাড়ে, মেজাজ ভাল থাকে এবং অ্যালঝাইমারস বা পারকিনসনের মতো স্নায়ুরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
প্রদাহ কমায় ও কোষকে সুরক্ষা দেয়ঃ ব্ল্যাক কফি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এতে থাকা পলিফেনল শরীরের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়।
7
11
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসঃ মাঝারি পরিমাণে ব্ল্যাক কফি পান করলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে যায়।
8
11
মেজাজ সতেজ রাখেঃ ক্যাফিন মেজাজ ভাল রাখে ও শক্তি জোগায়। ফলে কাজের উদ্যম ও মানসিক শক্তি বজায় থাকে।
9
11
আয়ু বৃদ্ধিতেও সহায়কঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২ থেকে ৪ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায় এবং সামগ্রিক জীবনমান উন্নত হয়।
10
11
তবে চিকিৎসক সতর্ক করে বলেছেন, যদি কফিতে চিনি, ক্রিম বা ফ্লেভার যোগ করেন, তাহলে এই উপকারিতা অনেকটাই হারিয়ে যায়। একইসঙ্গে দিনে সর্বোচ্চ চার কাপ পর্যন্ত ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত। অতিরিক্ত ক্যাফিন অনিদ্রা বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
11
11
যাদের উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক বা হৃদরোগ আছে, তাঁরা অবশ্যই অতিরিক্ত কফি পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।