সংবাদ সংস্থা মুম্বই: আমেরিকায় ফের ট্রাম্পের শাসন শুরু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফের একবার মার্কিন মুলুকের দায়িত্ব নিজের হাতে নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফের একবার ক্ষমতায় আসতে চলেছেন ট্রাম্প। বুধবার ফলঘোষণার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন আমেরিকাবাসীরা। তবে ফল ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বলিউডের ‘ক্যুইন’ কঙ্গনা রানাউত। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ট্রাম্পকে ‘টোটাল কিলার’ আখ্যা দিয়েছেন মাণ্ডির বিজেপি সাংসদ। আবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। আমেরিকায় হ্যারিসের জনপ্রিয়তা কম নয়। সে দেশের খ্যাতনাডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের হারের আসল কারণও খুঁজে বের করেছেন তিনি।
ট্রাম্পকে ‘টোটাল কিলার’-এর আখ্যা দিয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন কঙ্গনা। সাংসদ-অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রামে পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে ট্রাম্পের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছবি দিয়ে লেখেন, ‘‘আমি এই সময় আমেরিকা থাকলে ট্রাম্পকে ভোট দিতাম। গুলি লাগার পর উঠে দাঁড়িয়ে ভাষণ শেষ করেছেন যে ভাবে, এক কথায় ‘টোটাল কিলার’।’’ চলতি বছর জুলাই মাসে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গুলি লাগে ট্রাম্পের। পেনসিলভেনিয়ার বাটলারের একটি সভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর কথা শোনার জন্য প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। মঞ্চে উঠে কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। তখনই গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান দিকের কানের পাশ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখেও রক্তের দাগ দেখা যায়। তবু উঠে দাঁড়িয়ে হাত মুঠো করে আকাশের দিকে ছোড়েন ট্রাম্প।
কমলা হ্যারিসের সামনে ইতিহাস তৈরির সুযোগ ছিল। ২৭০ ম্যাজিক ফিগার পার করেছেন ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ২৭৭ টি ভোট। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬ টি ভোট। সাতটি সুইংয়ের মধ্যে ছটিতে জিতেছেন ট্রাম্প। ৫০ প্রদেশের মধ্যে বেশির ভাগই ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের দখলে। এদিন ট্রাম্পের জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দে ফেটে পড়েন তার সমর্থকরা।
কমলা হ্যারিসের হারের কারণে কী? তাও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জানিয়েছেন কঙ্গনা। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর ভোট কমার জন্য তিনি জর্জ ক্লুনি, রবার্ট ডি নিরো, বিয়ন্সে, বিলি আইলিশ, টেলর সুইফটের মতো তারকাদের দায়ী করেছেন। তাঁদের সঙ্গে তোলা কমলার ছবি শেয়ার করে বিজেপির তারকা সাংসদ লিখেছেন, “জানেন কমলার রেটিং এত তাড়াতাড়ি কেন কমে গেল? যখন এই জোকাররা তাঁকে সমর্থন করল মানুষ ভাবল তিনি এই সমস্ত মানুষদের সঙ্গে থাকেন তাই অত্যন্ত তুচ্ছ, চটকপ্রিয় এবং একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।” প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে সুপারহিরোধর্মী 'ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন' ছবিতে 'ব্যাটম্যান'-এর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল জর্জ ক্লুনিকে। 'স্যাজম ২' ছবিতেও সেই চরিত্রে আরও একবার হাজির হয়েছিলেন তিনি।
