Methi Lemon Amla juice among top drinks to Reduce Cholesterol and clogged Artery Methi Lemon Amla juice among top drinks to Reduce Cholesterol and clogged Artery

ধমনীতে জমা থকথকে চর্বি গলগল করে বেরোবে, সকালে খালি পেটে খান এই পানীয়গুলি

img

আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। হৃদরোগ, স্ট্রোক থেকে শুরু করে ধমনীর একাধিক জটিলতার নেপথ্যে রয়েছে রক্তে ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ বা লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন-এর বাড়াবাড়ি। এই অবস্থায়, দিনের শুরুতে খালি পেটে কয়েকটি বিশেষ পানীয় খেলে কোলেস্টেরল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে মাথায় রাখবেন এগুলি নিছক পথ্য মাত্র। প্রথাগত চিকিৎসার বিকল্প নয়।

img

১. মেথি ভেজানো জল: এক চামচ মেথি এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সেই জল পান করুন। মেথিতে থাকা স্যাপোনিন নামক উপাদান অন্ত্রে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক ফ্যাট বার করে দিতে সাহায্য করে।

img

২. লেবু-গরম জল: প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা ডিটক্স ওয়াটার হিসাবে কাজ করে। এটি শরীরের দূষিত পদার্থ বা টক্সিন দূর করে এবং লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্তনালীকে ভাল রাখে।

img

৩. আমলকির রস: আমলকিকে বলা হয় প্রাকৃতিক ‘হাইপোলিপিডেমিক’ এজেন্ট, অর্থাৎ এটি স্বাভাবিকভাবেই রক্তে চর্বির পরিমাণ কমায়। সকালে ২০-৩০ মিলিলিটার আমলকির রস খালি পেটে খেলে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও এলডিএল-এর মাত্রা কমে এবং উপকারী কোলেস্টেরল বাড়ে।

img

৪. রসুনের জল: এক কোয়া রসুন কুচিয়ে এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল পান করুন। রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ রক্তনালীতে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

img

৫. গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে রয়েছে ক্যাটিচিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি শরীরের বিপাক হার বা মেটাবলিজম বাড়ায় ও মেদ কমায়

img

৬. আদা-হলুদ জল: আদার ‘জিঞ্জেরল’ ও হলুদের ‘কারকিউমিন’ এই দু’টি উপাদানই প্রদাহ কমায়। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে আদা বাটা ও সামান্য কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে তা জমে থাকা চর্বি গলাতে সাহায্য করে।

img

৭. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে সকালে খেলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়।