By consuming these drinks daily bad cholesterol will reduce and keep heart healthy By consuming these drinks daily bad cholesterol will reduce and keep heart healthy

ধমনী থেকে নিংড়ে বেরবে কোলেস্টেরল, ভোগাবে না হৃদরোগ! রোজ এই সব পানীয়তে চুমুক দিলেই কমবে মারণ রোগের ঝুঁকি

img

আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বর্তমানে দেশের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। ইদানীং অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সেও শরীরে বাসা বাঁধছে এই ক্রনিক রোগ।

img

শরীরে এলডিএল কোলেস্টরল বেড়ে গেলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে শুরু করে। রক্তনালী সংকুচিত হয়ে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের। আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ওষুধ নয়, ডায়েটের উপরও নজর দেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে রোজের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি পানীয় রাখলে উপকার পাবেন।

img

গ্রিন টিঃ গ্রিন টি-তে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত এই পানীয় পান করলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। সঙ্গে মেটাবলিসম বাড়ে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণ করে।

img

আমলকির রসঃ ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, একইসঙ্গে শরীরে প্রদাহ কমায় এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। আমলকি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রাও বাড়ায়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। প্রতিদিন আমলকির রস পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

img

মেথি ভেজানো জলঃ মেথি বীজে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরলকে অন্ত্রে আটকে যেতে বাধা দেয়। একইসঙ্গে এতে রয়েছে স্যাপোনিনও, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মেথি বীজ সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে উপকার পাবেন।

img

ধনে বীজ ভেজানো জলঃ ধনে বীজ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং প্রয়োজনীয় তেলে ভরপুর, যা বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে। এই বীজ মিশ্রিত জল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।

img

রসুনের জলঃ রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ১ থেকে ২টি রসুনের কোয়া জলে ফুটিয়ে নিন অথবা থেঁতো করে হালকা গরম জলে মিশিয়ে পান করুন। সকালে এই পানীয় খেলে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

img

টমেটোর রসঃ টমেটোতে লাইকোপিন নামক একটি যৌগ থাকে। এটি শরীরে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। টমেটোর রস পান খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ফাইবার এবং নিয়াসিনও টমেটোর রসে থাকে।

img

মনে রাখবেন, এই স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলো সীমিত পরিমাণে পান করা উচিত। সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম করা জরুরি। কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কিংবা হৃদরোগের যে কোনও লক্ষণ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।