নিজস্ব সংবাদদাতা | ০১ মার্চ ২০২৪ ২৩ : ২৬

মার্চ মাসের প্রথম সন্ধেয় টলিক্লাব স্মৃতিমেদুর। পরিবারের সদস্য আর কিছু টলিউড তারকা— এঁদের নিয়ে ছিমছাম রিসেপশন সত্যজিৎ রায়ের নাতি সৌরদীপ রায়ের। নাতি, নাতবৌ সৃজাতা হয়ে সন্দীপ-ললিতা রায়— সবাই ছিলেন ঘরোয়া সাজে। রুমা গুহ ঠাকুরতার পরিবারের সবাই এসেছিলেন উদযাপনে। আর ছিলেন অনীক দত্ত, অরিন্দম শীল, সপরিবার সব্যসাচী চক্রবর্তী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সস্ত্রীক আবীর চট্টোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়, সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় (তোপসে), সত্যজিতের চিত্রগ্রাহক হীরক সেন, রাজনীতিবিদ মালা রায় প্রমুখ।

এদিন সৌরদীপ সেজেছিলেন কমলা পাঞ্জাবি-সাদা ধুতিতে। সঙ্গে বাহারি শাল উত্তরীয় হিসেবে নেওয়া। সৃজাতা তুলনায় ভারী সেজেছেন। তিনি বেছে নিয়েছিলেন বেগুনি-সবুজ কনট্রাস্ট শাড়ি। সঙ্গে সোনার গয়না। মেনুতে মেনুতে ছিল নব দম্পতির পছন্দের বিভিন্ন পদ। ছিল নান, বাটোরা পোলাও, তাওয়া ফিশ, আলুর দম, মাটন শিক কাবাব, চিংড়ির মালাইকারি, চাটনি, পাঁপড়, ফলের পায়েস, মালপোয়া, আইসক্রিম, পেস্ট্রি। এদিন সন্দীপ-ললিতাও সেজেছিলেন ভীষণ সাদাসিধে ভাবে।

এক বছর আগে চুপচাপ আইনি বিয়ে সারেন সৌরদীপ। ১২ বছরের বান্ধবী সৃজাতার সঙ্গে। সৃজাতার সঙ্গে সৌরদীপের আলাপ কীভাবে? প্রশ্ন রাখতেই সন্দীপ-পুত্র বলেছিলেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে ইনটার্ন করেছিলাম। রেডিওর একটি চ্যানেলের কাজে আমি গবেষণায় সহযোগিতা করেছিলাম। সৃজাতা বেশ কিছু সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করেছি। ওখানেই আলাপ।’’ সেই আলাপ ১২ বছর ধরে যত্নে লালন করেছেন উভয়েই। দিন এগিয়েছে। সম্পর্ক রং ধরেছে। ভালবাসা গাঢ় হয়েছে। তারই মধ্যে পড়াশোনা শেষ করে হিউম্যান রিসোর্স-এর সংস্থা খুলেছেন। সৌরদীপ যুক্ত হয়েছেন তাঁর বাবার সঙ্গে। প্রথমে স্থির চিত্রগ্রাহক। এখন সন্দীপকে আরও নানা বিষয়ে সহযোগিতা করেন তিনি।

এত চুপচাপ সত্যজিৎ রায়ের নাতির বিয়ে হল কেন? সৌরদীপের যুক্তি, ‘‘আমাদের শোরগোল ভাল লাগে না। ব্যক্তিগত ঘটনা ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছিলাম। তাই দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আইনি বিয়ে সেরেছি। আলাদা করে রীতি মেনে কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। কেবল রিসেপশন ছাড়া।’’ সৃজাতা বেহালার বাসিন্দা। মা-বাবার একমাত্র সন্তান। সৃজাতার বাবাও উচ্চপদস্থ কর্মী।