আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বকাপে তরতরিয়ে এগোচ্ছে ভারত। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো হেভিওয়েট দলগুলোকে হারিয়ে একের পর এক অঘটন ঘটিয়েছে আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডস। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য রোহিত শর্মারা। টিম ইন্ডিয়ার এই সাফল্যের রসায়ন কী? দেখা যাচ্ছে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ এবং সৌভাতৃত্বের আবহাওয়া দলকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় ভারতীয় দল শপথ নেয় দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতার জন্যে ক্রিকেটারদের মধ্যে বন্ডিং আরও বাড়াতে হবে। রোহিত শর্মার দল সেই মতো কাজ করেছে। রোহিতও বুঝতে দেননি যে তিনি বস। গোটা দলটাই একটা পরিবারের মতো। একজনের সাফল্যে অন্যজন আনন্দিত। গোটা দলটার মধ্যে সৌভাতৃত্বের বাতাবরণ আনার কৃতিত্ব দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের। এই যে ভারতীয় দল লখনউ ম্যাচের আগে ছবির মতো সাজানো ধর্মশালায় থেকে গেল বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে, এটাও যৌথ সিদ্ধান্ত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সমস্ত স্পটলাইট শুষে নেন মহম্মদ শামি। শামির সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন মহম্মদ সিরাজও। তবে একটু লুকিয়ে। শামিকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন বসে থাকার পর এই সাফল্য কেমন লাগছে? তার জবাবে শামি বলেন, দল জিতলে তিনি মাঠের বাইরে বসে থাকতে রাজি আছেন। দলের তিনজন পেসারের মধ্যে সম্পর্ক কেমন? এর উত্তরে শামি বলেন, 'অসাধারণ। সিরাজের লেন্থ নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছিল, আমি শুধরে দিয়েছি। আমারও কিছু সমস্যা ছিল, সিরাজ সংশোধন করে দিয়েছে।' এই সময় এক সাংবাদিক শামিকে জানান যে সিরাজও এখানে উপস্থিত আছে। শামি বলেন, 'ঘোমটা উঠিয়ে এদিকে চলে এসো।' ড্রেসিংরুমে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি পর্যন্ত ইগোর সমস্যা ভুলে এক হয়ে গিয়েছেন। সেটা বোঝা গিয়েছে গ্যালারিতে রোহিতের স্ত্রী ঋতিকা এবং বিরাটের স্ত্রী অনুষ্কাকে পাশাপাশি বসে খেলা দেখতে দেখে। দলের জুনিয়ররা সিনিয়রদের ভূমিকা দেখে চমৎকৃত। নাচ-গান দিয়ে ড্রেসিংরুম মাতিয়ে রাখছেন ঈশান কিষাণ এবং শুভমন গিল। সব মিলিয়ে ভারতীয় ড্রেসিংরুম একটি পরিবার হয়ে গিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটছে মাঠে।
