আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ডে’ বা ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’। আজকের দিনে মন কেমন করাটাই স্বাভাবিক। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ বাঙালি এইসময় থেকে পুজোর বেড়ানোর প্ল্যানিং শুরু করে দেন। এবং বেড়াতে যাওয়া যে সমাজ, সংস্কৃতি, মানসিকতার জন্য কতটা প্রয়োজন, সেটাকে মনে করে দেওয়ার ভূমিকা পালন করে এই ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’। এখন অনেকেই মনে করছেন, আদৌ কি এই পরিস্থিতি কখনও ঠিক হবে? আদৌ কি আমরা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে বুকভরা নিঃশ্বাস নিতে পারব? আবার কি সমুদ্রের কাছে বসে সূর্যাস্ত দেখতে পাব? নিশ্চয়ই পারব আমরা। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন অপেক্ষা আর ধৈর্য। আজ আমরা বাড়িতে বসে থাকলে কাল বেড়াতে যেতে পারব। আর তাই আজকের কথা ভেবে মানুষ অভিযোজন শুরু করে দিয়েছে। যাঁরা সফরপিপাসু, তাঁরা অস্থির হয়ে যেতে পারেন ভেবেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিকে। বাড়ি বসেই ঘুরে নিন পৃথিবী।
পর্যটন শিল্পগুলি একে একে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিকে কাছে টেনে নিচ্ছে ডিজিটাল ভ্রমণের ব্যবস্থাপনার জন্য। সারা বিশ্বে এই কয়েক মাসের মধ্যেই যে ট্রাভেল এজেন্সিগুলি আগে পর্যটকদের ঘুরতে নিয়ে যেত, এখন তারা অন্যভাবে তাদের ব্যবসা শুরু করেছে। ভার্চুয়ালি কীভাবে পর্যটকদের মনের রসদ জোগানো যায়, সেই চেষ্টা করছে। পেশ হল বিভিন্ন ওয়েবসাইট। সারা বিশ্বজুড়ে। যেমন ধরুন, নিউ জার্সির একটি সংস্থা, ‘ট্রাভেল ওয়ার্ল্ড ভিআর’। বাড়িতে বসে কোনও একটি পর্যটনকেন্দ্রকে ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে দেখার মজা উপভোগ করতে পারবেন। একটি অ্যাপও তৈরি হয়েছে TravelWorldVR.com/app নামে। বা ধরুন, ‘ইমার্স’। বিশ্বের সমস্ত সমুদ্র আপনি ঘরে বসে দেখতে পারবেন। এছাড়া গুগ্ল তো আছেই। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন একটা ক্লিকে।
‘ধুর একে কি আর বেড়ানো বলে?’ যদি নিজের হাতে জায়গাটার মাটিই না ছুঁতে পারি, যদি নাকে সেই অন্যরকম গন্ধটাই না আসে, তাহলে তাকে বেড়ানো বলে না।’ হ্যাঁ, এই প্রশ্নটা মাথায় আসা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তখনই মনে রাখবেন, ‘আজ আমরা বাড়িতে বসে থাকলে কাল সত্যি সত্যি বেড়াতে যেতে পারব।’
তবে হ্যাঁ, কেউ কেউ বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করতে পারলেও তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছোট ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছেন। কোনও বিকল্প নেই তাঁদের জন্য। পর্যটকেরা শারীরিক ভাবে ঘুরতে না গেলে তাঁদের রুটিরুজির কোনও ব্যবস্থা থাকবে না। সেখানেই দেখা যাচ্ছে অনেকে অন্য রোজগারের পথ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন।