আজকালের প্রতিবেদন, তমলুক: ব্যাপক বিবর্তন শরীরে আর চরিত্রে। নবরূপা সৈকতসুন্দরীর ব্র্যাণ্ডভ্যালু এখন আন্তর্জাতিক। সৌন্দর্যায়নের ছোঁয়ায় রূপ বেড়েছে বহুগু্ণ। তবে সবটাই কৃত্রিম। প্রকৃতির বিবর্তনে নির্জন উপকূলে সৃষ্টি দীঘার। যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পিন্টু ভট্টচার্যের গান,‘চলো না দীঘার সৈকত ছেড়ে ঝাউবনের ছায়ায় ছায়ায়।’এখনও ঘুরে বেড়ায় সেই গান মানুষের মুখে মুখে। গানের ভাষাই বুঝিয়ে দেয় সৈকতসুন্দরীর সেই রূপের কথা। কালের নিয়মে হারিয়ে গেছে বেলাভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। গত দুই দশকে ভাঙনের গ্রাসে হারিয়ে গেছে সৈকতের সারিসারি বালিয়াড়ি আর ঝাউবন। প্রকৃতির মতো এই ধ্বংসলীলায় হাত রয়েছে মানুষেরও। যা অবশ্যই আশঙ্কার।
ভাঙন রুখতে কংক্রিটের বেড়া দিয়েছে সরকার। ফেরেনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যায়ন। গত দুই দশকে যা হয়েছে, সবটাই কৃত্রিম প্রলেপ। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। হাতিয়ার সেই ঝাউগাছ। দীঘা–সহ মন্দারমণি, তাজপুর ও শঙ্করপুর, সর্বত্রই ঝাউগাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দীঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বনদপ্তর এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত। যৌথ উদ্যোগে দীঘা–মন্দারমণি সৈকত বরাবর ২০ কিমি উপকূলে প্রতিবছর লক্ষাধিক ঝাউ এবং আকাশবনি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন, যা সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি উপকূলের ভাঙন রোধে বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে দাবি প্রশাসনিক কর্তাদের। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অন্যতম সদস্য এবং জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী বিকাশ কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত দাস বলেন, ‘সৈকত বরাবর ২০ কিমি এলাকায় ঝাউ, আকাশবনি লাগানো হবে। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে এবং উন্নয়ন পর্ষদ ও বনদপ্তরের আর্থিক সহায়তায় এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে।’
গত দুই দশকে দীঘায় এভাবেই সমুদ্রের গ্রাসে হারিয়ে গেছে বালিয়াড়ি ও ঝাউগাছ।