আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। ভারতের রাজধানী দিল্লি প্রথমবার শুরু হল টেলিভিশনের সম্প্রচার। বর্তমানে যখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওটিটি। সেখানে ছত্তিসগঢ়ের এই গ্রামে একটি টিভি পৌঁছতে লেগে গেল ৬৫ বছর। ২০২৪-এর ১১ ডিসেম্বর প্রথম টিভি দেখল ছত্তিসগঢ়ের সুকমা জেলার পূরবাতি গ্রাম। গ্রামের জওয়ান থেকে বৃদ্ধি, বাচ্চা থেকে মহিলা সকলে মিলে দেখলেন টিভি। কাছ থেকে দেখলেন দূরদর্শনকে।

পূরবাতি গ্রামটি ছত্তিসগঢ়ের দক্ষিণে অবস্থিত। এলাকাটি মাওবাদী অধ্যুষিত। উন্নয়ন এখানে পৌঁছয়নি এখনও ঠিক করে। সেখানকার বাসিন্দারা স্বাধীনতার পর প্রথম বার দেখল, টেলিভিশন কী জিনিস। ছত্তিসগড় রাজ্য পুনর্নবীকরণ শক্তি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে একটি ৩২ ইঞ্চির টিভি বসানো হয়েছে গ্রামে। লাগানো হয়েছে সেট টপ বক্সও। যার সাহায্যে ১০০টি চ্যানেল বিনামূল্যে দেখা যাবে। টিভিটি চলবে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে। চলতি বছরের একেবারে শুরুর দিকে মাওবাদী অধ্যুষিত সিলগার ও তেকালগুদেম গ্রামেও আলো, পাখা এবং টিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলিও চলছে সৌরবিদ্যুতে। 

জেলার কালেক্টর দেবেশ কুমার ধ্রুব জানান, বাচ্চারা শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান থেকে কার্টুন, সবই দেখতে পাবে এ বার থেকে। গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রচেষ্টাগুলি শুধুমাত্র গ্রামবাসীদের মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছে না বরং পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দেবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জোর দেবে। 

গ্রামবাসীদের একজন বলেন, “আমাদের গ্রামে টিভি থাকবে তা আমরা কল্পনাও করিনি। প্রথমবার খবর, সিরিয়াল এবং সিনেমা দেখা অনুভবই আলাদা। এটা আমাদের জন্য অলৌকিক ছাড়া আর কিছুই নয়।”