আলোক সেন, বাঁকুড়া: ‘বাঁকুড়া জেলাতেও রয়েছে প্রচুর বনাঞ্চল। তাকে কাজে লাগিয়ে এই জেলাতেও ফরেস্ট ট্যুরিজম গড়ে তুলতে হবে। তাতে এই বনাঞ্চল লাগোয়া মানুষগুলি কাজের সুযোগ পাবেন। তাঁদের আর্থিক মানোন্নয়ন ঘটবে।’ শুক্রবার বিষ্ণুপুর শহরের জোড়মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত রাজ্যস্তরের বনমহোৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেন বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি। তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্য বনপাল–সহ অন্য আধিকারিকদের তিনি বলেছেন, এই এলাকার মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন, যাতে এই ফরেস্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা যায়।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ ও সুন্দরবনে ফরেস্ট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হয়েছে এবং তার মাধ্যমে ওই সব এলাকার জঙ্গল লাগোয়া মানুষজন ভীষণভাবে উপকৃত হয়েছেন। তাই মন্ত্রী মনে করেন, একই রকম ফরেস্ট ট্যুরিজম এই জেলাতেও সফল রূপায়ণ হতে পারে। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে জঙ্গল লাগোয়া মানুষগুলিও অনেকেই কাজ হারিয়ে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। জঙ্গলের যে ছোটখাটো কাজ যেমন বনসৃজন, কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট ইত্যাদি কাজকর্ম— একটি কমিটি গড়ে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে।’
বনমন্ত্রী এদিনও বনজ সম্পদ এবং বনজ ভূমি রক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। তিনি জানান, বনজ সম্পদ এবং বনজ ভূমি রক্ষা করতে প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করতে হবে। যদি কোথাও বনজ সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে, এমন খবর তাঁকে জানানো হয়, প্রয়োজনে তিনি আবারও ছদ্মবেশে সেখানে হানা দিতে প্রস্তুত আছেন। অনুষ্ঠানে রাজ্য ও জেলা বনদপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন, বনমন্ত্রী নিজের হাতে বেশ কয়েকটি গাছ লাগান।
Aajkaal © 2017