দীপঙ্কর নন্দী
‘বাংলার মুসলিমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেই আছেন। মিম মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। বিজেপি–র কাছ থেকে টাকা ও বাইক নিচ্ছে। আমি জোড় হাত করে মিম–এর নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে বলছি, দয়া করে বিধানসভা ভোটের সময় পা দেবেন না। একটি আসনও পাবেন না।’
রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি মিম সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ওয়াইসিকে চিনি। ভালই সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বড্ড সাম্প্রদায়িক।’
বিহারে পঁাচটি আসন মিম দখল করতে পেরেছে। জবাবে সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘বিহারে কংগ্রেস কিছু করতে পারল না। বিজেপি মিম–কে ৫টি আসন উপহার দিয়ে দিল। বাংলার মাটি ওয়াইসি চেনে না। এখানকার হিন্দু–মুসলমানের বন্ধুত্ব সম্পর্কে ওঁর কোনও ধ্যানধারণা নেই। মমতার নেতৃত্বে বাংলায় যে–সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়েছে, সে–সম্পর্কে ওঁরা কিছু জানেন না। ওঁরা ভাবছেন বাংলায় এসে গরম–গরম কথা বললে মুসলিমরা ওঁদের ভোট দিয়ে দেবেন।’
সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘মিম হচ্ছে বাইরের উড়ন্ত পাখি। ওরা বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য আসছে। হায়দরাবাদের জমিদারি বাংলায় চলবে না। ওদের কোনও নেতা নেই। ভোটের তিন দিন আগে কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। টাকাপয়সা নিয়ে সব পালিয়ে যাবে। বাংলার মানুষ ওদের ফঁাদে পা দেবেন না। এখানকার মুসলিম সম্প্রদায় খুব শান্তিতে আছে। মমতা ওদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তার জন্য তঁাকে বিরোধী দলগুলি আক্রমণ করে। তবে এতে কিছু এসে–যায় না। ২০২১–এ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতাই আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলার ভবিষ্যৎ কার হাতে সুরক্ষিত থাকবে, সেটা এখানকার হিন্দু–মুসলমানেরা খুব ভাল ভাবে বোঝেন। বিজেপি–ও সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা করতে চাইছে। এতে লাভ কিছু হবে না। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষ ওদের এবারও প্রত্যাখ্যান করবে। এখানকার কংগ্রেস–সিপিএম প্রায় উঠে গেছে।
জোট করেও তৃণমূলকে কোনও ধাক্কা দিতে পারবে না। বিজেপি যতই লম্ফঝম্ফ করুক, ভোটের সময় হারিয়ে যাবে। আমি এখানকার হিন্দু–মুসলমানের মন বুঝি। ভোট বড় কথা নয়, তারা শান্তিতে বসবাস করতে চায়। আর এই জায়গায় বিজেপি ও মিম–এর মতো দল শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইছে। পঞ্চায়েতে জেতার ক্ষমতা নেই, ওরা আবার বাংলায় বিধানসভায় দঁাড়াতে চায়! জল ঘোলা করতে আসছে। পুকুরে নেমে সব গুলিয়ে দেবে। বিধানসভা নির্বাচনে বড় ক্ষতি করে দেবে। বাংলায় ক’টা জেলা আছে, মিম নেতারা বলতে পারবেন না। ব্লক সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। মমতার আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে ওঁরা কিছু জানেন না। ৩৫ বছরের সিপিএম–কে সরিয়ে মমতা সরকার করেছেন। বিজেপি, মিম–কে হটাতে বেশি সময় লাগবে না। মমতা ধর্মনিরপেক্ষ। উন্নয়ন করে চলেছেন। আমি তো বলব তঁার উন্নয়নের সঙ্গে সকলকে শামিল হতে।’
Aajkaal © 2017