অমিতাভ ভট্টাচার্য, মালবাজার, ৩ সেপ্টেম্বর- কথায় বলে সময় খারাপ হলে হাতিও গর্তে পড়ে। কথাটি হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারল এক অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী হাতি। মাল থানার ওদলাবাড়ি চা–বাগানে। প্রায় ৪০টি বুনো হাতির দল নিজের খেয়ালে বাগানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। চলার সময় নিজেদের রুটে চললেও অপ্রাপ্তবয়স্ত ওই হাতিটি বুঝতে না পেরে চা–বাগানের সরু নালার মধ্যে পড়ে যায়। এমনভাবে পড়ে যায় যে গর্ত থেকে হাতিটির ওঠা তো দূর অস্ত, নড়াচড়ার ক্ষমতা পর্যন্ত ছিল না। শেষে বনদপ্তরের কর্মীরা জেসিপি মেশিন এনে মাটি কেটে হাতিটিকে তোলা ব্যবস্থা করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার ভোরে হাতির চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় চা–বাগানের ১ নম্বর সেকসনে নালার মধ্যে হাতিটি পড়ে আছে। এমনভাবে পড়েছিল যে, তার পা–দুটো ওপরের দিকে ছিল। যার জন্য এটি উঠতে পারছিল না। সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগের তারঘেরা রেঞ্জে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা ছুটে আসেন। এদিকে বেলা বাড়তে থাকায় প্রখর রোদ ও মানুষের চেঁচামেচিতে হাতিটির খুব অসুবিধা হচ্ছিল।
তারঘেরা রেঞ্জের রেঞ্জার দুলাল ঘোষ বলেন, রবিবার রাতে প্রায় ৪০ টি হাতির একটি দল ওদলাবাড়ি এবং ধুমসিগাড়া এলাকায় এসেছিল। ভোরের দিকে দলটি জঙ্গলে ফিরে যায়। কিন্তু এই স্ত্রী হাতিটি নালায় পড়ে যায় এবং নালা থেকে উঠতে না পারায় দলের অন্যরা জঙ্গলে ফিরে যায়। বহু চেষ্টা করার পরেও হাতিটি উঠতে পারেনি। পরে জেসিবি এনে তা দিয়ে নালার আশপাশের মাটি কেটে দিলে হাতিটি নিজেই উঠে চলে যায়। দুলালবাবু আরও বলেন, হাতিটি দলটিতে ফিরে গেল কিনা এবং আঘাত পেয়েছে কিনা সেদিকেও বনকর্মীরা নজর রাখছে। আগামী কিছুদিন এই নজরদারি থাকবে।
পা দুটো ওপরের দিকে। কিছুতেই উঠতে পারছে না। চা–বাগানের নালায় পড়ে তখন কাতরাচ্ছে স্ত্রী হাতিটি। ছবি: প্রতিবেদক