অলক সরকার,শিলিগুড়ি: দার্জিলিঙে বিনয় তামাংকে প্রার্থী করা একরকম মাস্টার স্ট্রোক। কয়েক দিন ধরেই বিনয়ের নাম শোনা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়ে দেন, দার্জিলিঙে প্রার্থী হচ্ছেন বিনয় তামাং। তৃণমূলের পূর্ণ সমর্থন থাকবে, সেটাও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন। প্রচারে নেমে পড়লেন বিনয়পন্থীরা। জিতলেই তিনি মন্ত্রী হচ্ছেন, এই বার্তাও ইতিমধ্যেই পাহাড়ে ছড়িয়ে গেছে। এই বার্তাটাই বাড়তি উৎসাহ এনে দিয়েছে পাহাড়বাসীর মনে। লোকসভা ভোটের পর দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকেরা ভিড় জমিয়েছেন দার্জিলিঙে। তার মধ্যেই ফের ভোটের আবহ এসে যাচ্ছে পাহাড়ে। পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বিনয়কে জেতানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে গুরুংপন্থীরা এখনও পর্যন্ত ঠিক করতেই পারেননি, তাঁদের প্রার্থী কে হবেন। ভোটে কোন ইস্যুকে সামনে আনা হবে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা। লেজেগোবরে অবস্থা। শুক্রবার বিনয় তামাংয়ের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার গুরুংপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বাসগিং শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ‘দফায় দফায় বৈঠক করছি। আমাদের শরিক দল বিজেপি আছেই। এছাড়াও জিএনএলএফ, সিপিআরএম–এর মতো অনেক দল সঙ্গে আছে। তাদের সবার সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে।’ বাসগিং জানান, ‘আমরা এমন একজন প্রার্থী চাইছি যিনি সব দলের গ্রহণযোগ্য হবেন।’ প্রসঙ্গত, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও দলই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নাম বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। ফলে গুরুংদের হয়তো জিএনএলএফ বা বিজেপি শিবির থেকেও প্রার্থী বাছতে হতে পারে। বিনয়দের নির্দিষ্ট এজেন্ডা আছে। জমির পাট্টা, নতুন পুরসভা, নতুন মহকুমা এবং উন্নয়ন। গুরুংদের সামনে আপাতত কোনও ইস্যু নেই। অথচ গুরুংপন্থী মুখপত্র বারবার বলার চেষ্টা করেন, লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচন দুই ভোটেই গুরুপন্থীরা নিশ্চিত জয়ী হবে। বিনয় তামাংদের ইস্তাহারের বিষয়ে জানান, কালিম্পং জেলা হলে এমনিতেই কিছু পুরসভা ও মহকুমা হবে। এটা আলাদা করে বলার কিছু নেই। গুরুংপন্থীরা জিটিএ নির্বাচন নিয়েও খুব বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে বাসগিং জানান, ‘বিনয় প্রার্থী হওয়ায় আমরা খুশি। ওকে পরাজিত করে প্রমাণ করব পাহাড়ে বিনয় তামাংয়ের কোনও জনভিত্তি নেই।’