আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের উপর দিল্লি পুলিসের অত্যাচারের প্রত্যক্ষ প্রমাণ আবারও সামনে এলো। ছাত্রছাত্রী এবং প্রাক্তনীদের নিয়ে গঠিত জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে শনিবার গত ১৫ ডিসেম্বরের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। ৪৯ সেকেন্ডের ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএমআইইউ–র এমফিল বিভাগের ওল্ড রিডিং হল লাইব্রেরিতে আচমকা লাঠি উঁচিয়ে ঢুকছে একদল পুলিসকর্মী। ঢুকেই তারা নির্বিচারে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের লাঠিপেটা করছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ছুটে পালাবার চেষ্টা করলে তাঁদের লাঠি হাতে তাড়া করছেন পুলিসকর্মীরা।
এক ছাত্র ভয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েছেন।
এব্যাপারে রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লি পুলিসের বিশেষ কমিশনার (অপরাধ), প্রবীর রঞ্জন আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ১৫ ডিসেম্বরে জেএমআইইউ–র লাইব্রেরির ওই ভিডিও ফুটেজ তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। ভিডিও প্রকাশ হতেই ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে লেখেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লি পুলিস মিথ্যা বলেছিল যে তারা লাইব্রেরিতে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেনি। এই ভিডিও দেখার পরও যদি অভিযুক্ত পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে সরকারের মানসিকতা প্রকাশ্যে এসে যাবে।
’ শশী থারুর টুইটারে লেখে, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে প্ররোচনা ছাড়াই কীভাবে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীদের নিগ্রহ করছে পুলিস। এধরনের আইন না মানা পুলিসকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত’।
গত ১৫ ডিসেম্বর সিএএ–র বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল জেএমআইইউ। তখনই ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রী বেধড়ক মারধর করে দিল্লি পুলিস। পুলিসি মারে এক ছাত্রের বাঁ চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিস বরাবরই দাবি করে এসেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যই তারা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেছিল। ইচ্ছে করে কাউকে মারা হয়নি।
ছবি এএনআই, স্ক্রোল.ইন