আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৌবাজারে মেট্রো প্রকল্পের জন্য বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিপর্যয়ের জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করে বলেছেন, ‘খুব বড় অবহেলা মেট্রোর। বড় গাফিলতি।’ পরে বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, ‘যতক্ষণ না মেট্রো ল্যান্ড সেটেলমেন্ট সার্টিফিকেট দিচ্ছে পুরসভাকে ততদিন পুরসভা কাজ শুরুর অনুমতি দেবে না। মেট্রোকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে ফের মাটি বসবে না। অনুমোদিত বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ওই সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে। আগে ওরা বলেছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি আয়ত্তে চলে আসবে। কিন্তু এখন কোনও গ্যারান্টি দিতে পারছে না।’
এই বিপর্যয়ের জন্য দুর্ভোগে পড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সবাইকেই নতুন করে পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেছেন, বাড়িওয়ালা, দোকানদার, বা ভাড়াটে, যতদিন ফের নিজেদের ঘরে তাঁরা না ফিরে আসবেন, ততদিন যেখানে তাঁরা আছেন, সেখানকার ভাড়া তাঁরা পাবেন। যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে তাঁদের বাড়ি এবং যাঁদের দোকান ভেঙেছে তাঁদের দোকান নতুন করে বানিয়ে দেওয়া হবে। তবে তাঁদের সবাইকেই তাঁদের নিজস্ব জমির প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে হবে। যেসব মানুষদের ভোটার কার্ড হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের নতুন ভোটার কার্ড করে দেওয়া হবে।
মেয়র বলেছেন, ‘এদিনও কলকাতা পুরসভার কাছে ২০০ গাড়ি জল চেয়েছিল কেএমআরসিএল। সেই মতো পুরসভা জল দিয়েছে। এটা এখন কলকাতায় কর্মরত মেট্রো অফিসারদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ফলে তাঁরা চেষ্টা করলেও সামলাতে পারছে না।’ রেলমন্ত্রী এখনও এব্যাপারে উদাসীন বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর ঘুম না ভাঙলে কিছু হবে না। রেলমন্ত্রীকে এখানে এসে দেখতে হবে।’
ফিরহাদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশ ও আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, রেলমন্ত্রী উদাসীন একথা ঠিক নয়। পুরো ঘটনা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। সব কিছুই তাঁর নজরে আছে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে বলেছেন, ‘এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। ম্যান মেড দুর্যোগ। সরকার মেড দুর্যোগ।’