আজকালের প্রতিবেদন: রাজ্যে কেএমডিএ–র তত্ত্বাবধানে যে ক’টি সেতু আছে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হল। এই কমিটিতে একদিকে যেমন কেএমডিএ–র ইঞ্জিনিয়াররা আছেন তেমনি থাকবেন বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যে ১৫টি সেতু পরীক্ষা করে দেখবে এই কমিটি। এই সেতুগুলি হল: ১। ঢাকুরিয়া সেতু (গোলপার্ক এবং ঢাকুরিয়াকে যুক্ত করেছে), ২। বিজন সেতু (গড়িয়াহাট এবং কসবাকে যুক্ত করেছে), ৩। অরবিন্দ সেতু (গৌরীবাড়ি ও উল্টোডাঙাকে যুক্ত করেছে), ৪। চেতলা ব্রিজ (কালীঘাট ও চেতলাকে যুক্ত করেছে), ৫। কালীঘাট ব্রিজ (কালীঘাট ও গোপালনগরকে যুক্ত করেছে), ৬। দুর্গাপুর ব্রিজ (নিউ আলিপুর এবং চেতলাকে যুক্ত করেছে), ৭। আম্বেদকর ব্রিজ (ই এম বাইপাসে সায়েন্স সিটি এবং ভিআইপি বাজারকে যুক্ত করেছে), ৮। উল্টোডাঙা উড়ালপুল (ই এম বাইপাস ও ভিআইপি রোডকে যুক্ত করেছে), ৯। সুকান্ত সেতু (সুলেখা হয়ে যাদবপুর ও সন্তোষপুরকে যুক্ত করেছে), ১০। বঙ্কিম সেতু (হাওড়া স্টেশন এবং হাওড়া ময়দানকে যুক্ত করেছে), ১১। চিংড়িঘাটা উড়ালপুল (ই এম বাইপাস এবং বিধাননগরকে যুক্ত করেছে)। এছাড়া আছে শিয়ালদা উড়ালপুল বা বিদ্যাপতি সেতু, পার্ক সার্কাস রেল লাইনের ওপর চার নম্বর ব্রিজ, যাদবপুর থানার কাছে জীবনানন্দ সেতু এবং করুণাময়ী মোড়ের কাছে টালিনালার ওপরে যে সেতুটি। এদের কাজ হবে—
● যে সমস্ত সংস্থা চিহ্নিত সেতু এবং কাঠামোগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজনে খুব তাড়াতাড়ি করতে পারবে তাদের নাম সুপারিশ করা।
● সমীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজনে শর্তগুলি চূড়ান্ত করা।
● পরীক্ষার পর সংস্থা রিপোর্ট দেওয়ার পর সেই রিপোর্ট নিয়ে কেএমডিএ–র সঙ্গে আলোচনা এবং চূড়ান্ত বিষয়টি নির্ধারণ করা। এর পাশাপাশি এই কমিটি আগামী দিনে কীভাবে সেতুর স্বাস্থ্যে নজরদারি চালানো হবে সেটিও ঠিক করবে।
● তাৎক্ষণিক দেখাশোনার প্রয়োজনে কী কী যন্ত্র লাগবে তার সুপারিশও করবেন তঁারা। সদস্যরা হলেন, অমিতাভ ঘোষাল। একজন নামকরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তঁার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। রেলের বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পগুলির টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের সদস্য তিনি। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিজ অ্যান্ড স্ট্রাক্টচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স (আইএবিএসই) তঁাকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে। এছাড়া কোড কমিটি অন ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেস এবং ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্সের সদস্য তিনি।
ইতিমধ্যেই কেএমডিএ–র তরফে আইআইটি খড়্গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সুধাকর রেড্ডির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, যাতে ওই বিভাগের প্রফেসর শ্রীমান ভট্টাচার্য অথবা প্রফেসর নির্ঝর ঢ্যাং বা দু’জনকেই এই কমিটিতে রাখা যায়।
কমিটিতে কেএমডিএ–র রোডস অ্যান্ড ব্রিজস–এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশিসকুমার সেন থাকবেন। থাকবেন রোডস অ্যান্ড ব্রিজস–এর অপর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ভাস্কর সেনগুপ্ত। পরামর্শদাতা হিসেবে থাকবেন ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ–সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্স–এর সদস্য সমীরণ সেন।