আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের সময় নতুন বরের জুতো লুকিয়ে রাখার নিয়ম রয়েছে প্রায় সব বাড়িতেই। কনের বান্ধবী বা বোনেরা নতুন বরের জুতো লুকিয়ে রেখে তাঁর থেকে টাকা আদায় করে থাকেন। সকলে হাসিমুখে সেই টাকা দিয়েও দেন। যে পরিমাণ টাকা দাবি করা হয় তা না দিলেও খানিকটা কমটা দিয়ে পার পাওয়া যায়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে হল অন্য ঘটনা। বিয়ের সময় ‘জুতো ছুপাই’ (জুতো লুকানো) রীতিকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ও মারামারির ঘটনা ঘটল। উত্তর প্রদেশের বিজনরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। রীতি মেনে জুতা লুকিয়ে রাখার পর বর কনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল। কম টাকা দেওয়ার জন্য কনের পক্ষের মহিলারা বরকে ভিক্ষুক বলে অভিহিত করা হয়। এমনকি বরকে একটি ঘরে আটকে রেখে কনের পরিবার লাঠি দিয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগ।

গত শনিবার উত্তরাখণ্ডের চাকরতা থেকে উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে বিয়ে করতে এসেছিলেন মহম্মদ সাবির নামের এক যুবক। বিয়ের রীতিনীতি চলাকালীন সাবিরের জুতে লুকিয়ে রেখেছিলেন কনের পরিবারের লোকেরা। সেই জুতো ফেরত দিতে তাঁরা ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সাবির সেই দাবি মেনে নেননি। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দেন। এর পরেই কনের পরিবারের লোকেরা তাঁকে ভিক্ষুক বলে কটাক্ষ করেন। 

এরপর, সাবিরকে ভিক্ষুক কেন বলা হল তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। যা শীঘ্রই মারামারিতে রূপ নেয়। সাবিরের পরিবারের অভিযোগ, কনের পরিবার তাদের একটি ঘরে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে মারধর করে।

কনের পরিবারের অভিযোগ, সাবিরের পরিবার যখন উপহার হিসেবে পাওয়া সোনার মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন তর্কাতর্কি শুরু হয়। তাদের আরও অভিযোগ, সাবিরের পরিবার বলেছিল, মেয়ের চেয়ে তাঁরা টাকাকেই বেশি ভালোবাসে। এরপরেই ঝামেলা আরও চরমে ওঠে। 

খবর যায় পুলিশে। সেখানে পৌঁছে বর এবং কনে দুই পক্ষেরই কথা শোনে পুলিশ। জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। নাজিবাবাদ থানার এক আধিকারিক বলেন, "জুতো ছুপাই রীতিকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। পরে তাঁরা থানায় এসে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। একটি মিমাংসায় পৌঁছনো গিয়েছে।"