কোনও সন্দেহ নেই, এ বছর কালীপুজো এবং দীপাবলিতে শব্দবাজির দাপট গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। ‘কান পাতা দায়’ অবস্থা থেকে বাংলা এবার মুক্তি পেয়েছে। ধন্যবাদ সরকারকে। আর নির্দিষ্ট করে ধন্যবাদ পুলিশ এবং রাজ্য দূযণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে। আর অবশ্যই ধন্যবাদ সেই নাগরিকদের যাঁরা সচেতন হয়েছেন। যাঁরা বুঝেছেন শব্দ তৈরি করে আনন্দ, উৎসব, ‘অসভ্যতা’ ছাড়া আর কিছুই নয়। ধন্যবাদ সবথেকে বেশি দিতে হবে তাদের, যারা গত বছর পর্যন্ত শব্দবাজি পুড়িয়েছে, অথচ এবছর বুঝেছে, ভুল হয়ে গেছে। এবার থেকে আর নয়। ভুল সংশোধন করা সবথেকে বড় গুণ। তাহলে প্রমাণ হল, চেষ্টা করলে, ইচ্ছে থাকলে, শব্দবাজিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যারা মনে করে অর্থের জোরই শেষ কথা তারা পিছু হটে। তারপরেও সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কলকাতা এবং শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজি ফেটেছে। এলাকাগুলির নামের তালিকাও দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর এইসব এলাকাতেই শব্দবাজির হাঙ্গামা বেশি হয়। এখানে আগামীদিনে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। গোটা বছর জুড়ে প্রচার চালাতে হবে। এখানকার জনপ্রতিনিধিরা যদি সচেতনতার কাজে পথে নামেন এই সব এলাকার মানুষের অভিনন্দন পাবেন। নামতে হবে ক্লাব, বিভিন্ন গণসংগঠনকে। রাজনৈতিক দলগুলোই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? শুধুমাত্র ভোট আর বিরোধী পক্ষের নেতানেত্রীর ‘মুন্ডুপাত’ই তো দলের কর্মসূচি হতে পারে না। ‘মুন্ডুপাত’ করতে হবে শব্দবাজির মতো সামাজিক অসুস্থতারও। আগামী দিনে বাংলায় যেন শুধুই আলোর উৎসব হয়। গোটা দেশ যেন আঙুল তুলে বলে—‘ওরা পেরেছে।’