পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বহু ছাত্রছাত্রীর উদ্বেগ ছিল, কী করে কলেজে ভর্তি হবেন। সেই উদ্বেগ অভিভাবকদের স্বভাবতই বেশি ছিল। এবার একটু, একটু কেন, অনেকটাই অন্যরকম ছবি দেখা যাচ্ছে। অনেক কলেজে বেশ কিছু আসন ফাঁকা থাকার খবর আসছে। বিশেষত সংরক্ষিত আসন। কেন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার কলেজগুলোয় সংরক্ষিত আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে, বিষয় নির্বাচনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন তা হচ্ছে, ভাবতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী ভাবছেন। সমস্যাটা কোনওভাবে সামাজিক কিনা, কোথাও ভারসাম্যের অভাব ঘটছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে। সংরক্ষিত আসন ফাঁকা থাকলে, কিছু আসন অসংরক্ষিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে। একটা সময়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় আসন কম ছিল। ক্রমশ পরিস্থিতি পাল্টেছে। পরিকাঠামোর ধারাবাহিক উন্নতির ফলে, আসন সংখ্যা বেড়েছে। ‘কোথাও ভর্তি হতে পারব কিনা’— সেই দুশ্চিন্তা কেটেছে। আসন প্রতি বছরই কিছু বাড়ত, গত কয়েক বছরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনেক বেড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারছেন এবং পছন্দের বিষয়ও পাচ্ছেন। অন্য একটা বড় সমস্যা ছিল। প্রতি বছর, গত বছরও অভিযোগ উঠেছে, ছাত্র সংসদের বর্তমান ও প্রাক্তন কিছু নেতা ভর্তি করে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিচ্ছিলেন। টিএমসিপি নেতারাই প্রধানত অভিযুক্ত বলে শাসক দল ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সোচ্চার অভিযোগ ছিল। রোগটা বুঝে তার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে। কোনও অস্বচ্ছতা নেই। ব্যাঙ্কে টাকা জমা। ক্লাস শুরুর আগে কলেজে আসার দরকার নেই। ক্লাস শুরুর সময়ে নথিপত্র মিলিয়ে নেওয়া হবে। গন্ডগোল যদি থাকে, সংশ্লিষ্ট ছাত্রের ভর্তি আটকে যাবে। এবার এক টিএমসিপি নেতা (প্রাক্তন, বর্তমান ছাত্র সংসদ তাঁকে ব্রাত্য করে দিয়েছে) টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা স্পষ্ট। আর কোনও সমস্যা থাকল না। সমাধান।