কাশ্মীরে প্রস্তুতি নিয়েই ব্যবস্থা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের বদলে কেন্দ্রশাসিত করে দেওয়া তো বড় সিদ্ধান্ত। আগের দিন থেকেই সব রকমের যোগাযোগ বন্ধ, বড় ঘোষণা হওয়ার পরেও বিপুল প্রচার। নিশ্চিত শান্তি ফিরবে উপত্যাকায়, শিল্প যাবে, শুটিং হবে, সমৃদ্ধ হবেন কাশ্মীরিরা। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলের প্রচার। সে সব পরের কথা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লাগবে কতদিন? যাতে আন্দোলন সংগঠিত না করতে পারেন, কাশ্মীরের নেতাদের গ্রেপ্তার বা গৃহবন্দি করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সেই রাতেই গ্রেপ্তার। আইএএস থেকে পদত্যাগী তরুণ শাহ ফয়জল, নতুল দলের নেতা— তাঁকেও আটকানো হল। আরেক প্রাক্তন, প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লা গৃহবন্দি, জানা গিয়েছিল। সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ভুল তথ্য। ফারুক মুক্তই আছেন, তাঁর ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। সুপ্রিম কোর্টে কয়েকটা মামলার শুনানি হল ১৬ সেপ্টেম্বর। ঠিক সেদিনই ফারুক আবদুল্লাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জন সুরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হল। যাতে বিনা বিচারে ২ বছর জেলে রাখা যায়! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি মিথ্যা বলেছিলেন? আসল কথা, ঘটনা, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে কাশ্মীরে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা আজ না হোক কাল হামলা করবে, চেষ্টা করবে, জানা কথা। সেজন্য প্রস্তুতি ছিল নিশ্চয়। এখনও কিছু ঘটেনি, ঘটতেই পারে। কেন্দ্র নিশ্চয় প্রস্তুত। সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে পাচ্ছেন না কেন? মোবাইল, নেট বন্ধ। চালু সীমিত ল্যান্ডলাইন, তাতেও কড়া নজরদারি। স্কুল খোলা, কিন্তু ছাত্রছাত্রী নেই, বেরোতে পারছে না। দোকানপাট অধিকাংশই বন্ধ। এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিদের আক্রমণে, রাজ্যপাল জানালেন। পরে দেখা গেল, সেনার গুলিতেই সেটা হয়েছে। পরিস্থিতি ন্যূনতম স্বাভাবিক হতে আর কতদিন লাগবে?