আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। দাবি, নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারের সঙ্গে ন’ দফা বৈঠক ভেস্তে গেছে। কৃষকরা কিন্তু অনড়। আন্দোলন থামাবেন না। সিংঘু, টিকরি, গাজীপুর সীমান্তে বসে রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। তাঁদের আন্দোলন চালাতে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়ে চলেছেন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার আরও লাখ লাখ কৃষক।
হরিয়ানার গ্রামগুলো অভিনব প্রক্রিয়ায় অনুদান সংগ্রহ শুরু করেছে। এক একর জমি পিছু ১০০ টাকা করে অনুদান দিচ্ছেন কৃষকরা। যাঁর যত জমি, তিনি তত বেশি অনুদান দেবেন। কেউ চাইলে একর প্রতি অনুদানের অঙ্ক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত করতে পারেন।
দিল্লি সীমান্তে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বসে রয়েছেন যেসব কৃষক, তাঁদের খাবারের জোগান দিতেই এই অনুদান। জনসংখ্যা এবং আয়তনের বিচারে হরিয়ানার সবথেকে বড় গ্রাম সিসাই। সেখান থেকে রোজ একটি গাড়ি ১৫০ কিলোমিটার দূরে টিকরি সীমান্তে দুধ, খাবার পৌঁছে দেয়। এক এক দিন এক এক জন এই গাড়ি দেন বা তেলের খরচ দেন। অনেক গাড়ির মালিক আবার শুধু তেলের খরচটুকুই নেন।
যাঁদের কোনও জমি নেই, পরের জমিতে চাষ করেন, সেই ভাগচাষীরাও অনুদান দিচ্ছেন হরিয়ানায়। পরিবার প্রতি ১০০ টাকা করে তুলে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীদের। সিসাইয়ের প্রদীপ সিহাগ জানালেন, গ্রামে তাঁদের গোষ্ঠীর মোট ৮৫০ একর জমি রয়েছে। তাঁরা সকলে মিলে আন্দোলনকারীদের হাতে ৮৫ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন।
অনেক বিজেপি এবং জেজেপি নেতারও জমি রয়েছে গ্রামে। তাঁরাও কিন্তু সাধ্যমতো আন্দোলনে অনুদান দিয়েছেন। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘আমি আগে কৃষক, পরে রাজনীতিক।’ শুধু কৃষকরাই নন, হরিয়ানার অন্য পেশার লোকজনও এগিয়ে এসেছেন। প্রাক্তন আইএএস এসকে গোয়াল ইতিমধ্যে ভিওয়ানি জেলার ছ’টি গ্রামে ঘুরেছেন। প্রচার করেছেন, কৃষি আইনের বিরোধিতা কেন করা উচিত।