আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাথা যন্ত্রণা থেকে কোমরে ব্যথা, অনেকেই কথায় কথায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই পেইনকিলার খেয়ে নেন। কিন্তু জানেন কি ঘনঘন পেইনকিলার খেলে কিডনির অসুখ হতে পারে? বিশেষ করে আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন বা অ্যাসপিরিনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ বেশি খেলে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে পারে এবং কিডনির কোষের ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমন চলতে থাকলে কিডনির কার্যকারিতা কমে যায় এবং অ্যানালজেসিক নেফ্রোপ্যাথির মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যাঁদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা আছে কিংবা ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঘনঘন পেইনকিলার খাওয়া উচিত নয়। শুধু ওষুধ নয়, রোজকার অনেক খাবারও কিডনির অসুখ ডেকে আনে।

১.  অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার: চিপস, আচার, নোনতা বিস্কুট, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ে, যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে।

২.  প্রক্রিয়াজাত খাবার: এই ধরনের খাবারে প্রায়শই অতিরিক্ত লবণ, ফসফরাস এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান থাকে যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যেমন - প্যাকেটজাত খাবার, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, ক্যানড ফুড ইত্যাদি।

৩.  উচ্চ ফসফরাস যুক্ত খাবার: যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ফসফরাস গ্রহণ ক্ষতিকর। দুর্বল কিডনি অতিরিক্ত ফসফরাস শরীর থেকে বের করতে পারে না। রেড মিট, ডেইরি পণ্য (দুধ, পনির), বাদাম, বীজ, কোলা জাতীয় পানীয় ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে।

৪.  উচ্চ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: কিডনির রোগীদের জন্য অতিরিক্ত পটাসিয়ামও ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ কিডনি শরীরের পটাসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দুর্বল কিডনি এই কাজটি ঠিকভাবে করতে পারে না।

৫.  অতিরিক্ত প্রোটিন যুক্ত খাবার: অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনির উপর চাপ বাড়ে, কারণ কিডনিকে প্রোটিনের বিপাকজাত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করতে হয়। বিশেষ করে রেড মিট বেশি পরিমাণে খেলে এই সমস্যা হতে পারে।