আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল শ্রীলঙ্কার কুরুনেগালার দশ বছর বয়সি এক বালক। চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন সাধারণ পেটের অসুখ হয়েছে তাঁর। কিন্তু পেটের এমআরআই করতেই চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারদের। বালকের শরীর থেকে উদ্ধার হল ৭০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি বানরের ফিতাকৃমি! শ্রীলঙ্কার মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট নিশ্চিত করেছে যে, এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বে পাওয়া দীর্ঘতম বানরের ফিতাকৃমি।
সংবাদমাধ্যমকে এমআরআই-এর অধিকর্তা, ডা. সুরঙ্গা দোলামুল্লা জানান, এর আগে দীর্ঘতম যে ফিতাকৃমিটি পাওয়া গিয়েছিল, তার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার। তিনি আরও বলেন, “গবেষণায় জানা গিয়েছে যে এই ফিতাকৃমিটি ‘বারটিয়েলা’ গণের অন্তর্গত। মানুষ নয় সাধারণত বানরের দেহেই এই ফিতাকৃমি দেখা যায়। এই কৃমির প্রজাতি সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য জানতে অনুসন্ধান চলছে।”
মানুষ বা শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় কীভাবে?
এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রধান ভাইরোলজিস্ট, ডা. রোহিত মুথুাগালা জানান, বানরই সাধারণত এই প্রজাতির ফিতাকৃমির স্বাভাবিক ধারক। মানুষের সংক্রমণের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বানরের মল যখন মাটিকে দূষিত করে, তখন মাটিতে থাকা ক্ষুদ্র কীট (মাইট) সেই মলে উপস্থিত কৃমির ডিম বহন করতে পারে। এরপর ওই কীট যখন ফল বা ফসলের সংস্পর্শে আসে, তখন সেগুলিকে সংক্রামিত করে। মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা, এই সংক্রামিত ফল খেলে অথবা দূষিত মাটির সংস্পর্শে এলে পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।
