Woman had physical intimacy with 583 people in a Marathon event Woman had physical intimacy with 583 people in a Marathon event

একদিনে ৫৮৩ জনের সঙ্গে টানা ছ’ঘণ্টা সঙ্গম! রেকর্ড গড়তে গিয়ে করুণ পরিণতি যুবতীর, শুনলে চোখে জল আসবে

img

আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনি নিজের পরিচয় দেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ‘যৌন সক্রিয় নারী’ বলে। কিন্তু এবার সেই যৌনতার ধাক্কাতেই মর্মান্তিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল ২৭ বছর বয়সি এক তরুণীকে।

img

অ্যানি নাইট নামের ওই মডেল একদিনে ৫৮৩ জন পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কারণ হিসাবে তরুণী জানিয়েছেন যে তাঁর “শরীর আর নিতে পারছিল না।”

img

অ্যানি আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করতেন। পরে মডেলিং জগতে প্রবেশ করেন তিনি। এর আগেও একই সঙ্গে শতাধিক পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমের মতো কীর্তি করেছেন তিনি। সেই খবর প্রচারিত হয়েছিল দেশি বিদেশি বহু সংবাদমাধ্যমে।

img

নাইটের সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জে ২০০ জন পুরুষের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনার দিন ৫৮৩ জন পুরুষ উপস্থিত হন। কাউকেই ফেরাননি তরুণী। টানা ছয় ঘণ্টা চলে সঙ্গম।

img

একটি অজি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাইট বলেন, “চ্যালেঞ্জের পরে আমি মোটামুটি ঠিকই ছিলাম, কিন্তু দু’দিন পর আমার খুব বাজেভাবে পেটে মোচড় দেওয়া ব্যথা শুরু হয় সঙ্গে প্রবল মাত্রায় ঋতুস্রাব হতে শুরু করে।”

img

নাইট জানান যে চিকিৎসকরা তাঁর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত। অতিরিক্ত যৌনতা তাঁর শরীরে যে প্রভাব ফেলেছে সে বিষয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, “নার্সরা চিন্তিত ছিলেন যে আমার শরীরের ভেতরে কিছু ছিঁড়ে গেছে বা ক্ষতি হয়েছে, তাই তাঁরা অনেকগুলো স্ক্যান এবং পরীক্ষা করেন।”

img

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে মডেলের দেহে আয়রন এবং প্রজেস্টেরনের মাত্রা কম। সবশেষে চিকিৎসকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে সঙ্গমের দরুন অতিরিক্ত মানসিক চাপ মডেলের এন্ডোমেট্রিওসিস-এর সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেকারনেই রক্তপাত শুরু হয়।

img

প্রসঙ্গত, এন্ডোমেট্রিওসিস এমন একটি রোগ যেখানে জরায়ুর আস্তরণের মতো টিস্যু জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়, যার ফলে শ্রোণীতে ব্যথা, রক্তপাত এবং প্রজননে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

img

নাইট বলেন, “আমি বয়ঃসন্ধিকাল থেকে এন্ডোমেট্রিওসিস নিয়ে বেঁচে আছি, তাই এই রোগের উত্থান-পতনের সঙ্গে আমি অপরিচিত নই। কিন্তু আমার সাম্প্রতিক উপসর্গগুলো উদ্বেগজনক, তাই আমি এখন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছি।”

img

মডেলের এহেন কাজের কথা প্রকাশ্যে আসতেই নেটমাধ্যমে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। সিডনির এক চিকিৎসক, জ্যাক টার্নার জানান, এই ধরনের কার্যকলাপ ‘চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হলে’ শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।