ক্রেন-এ করে হাসপাতালে আনতে হয়, ৫৪০ কেজি মেদ গলান পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী মানুষ! কীভাবে? জানলে চোখে জল আসবে
Akash Debnath
মঙ্গলবার, 24 জুন 2025
1
12
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় তথা ভারী মানুষ হিসাবে অভিহিত করা হত তাঁকে। কিন্তু ৫৪০ কেজির বেশি ওজন ঝরিয়ে সেই যুবকই উঠে আসেন খবরের শিরোনামে।
2
12
১. সৌদির যুবক খালিদ বিন মোহসেন শাআরির বয়স যখন মাত্র ২০ বছর, তখন তাঁর ওজন ছিল ৬১০ কেজি (১,৩৪৪ পাউন্ড)।
3
12
২. এই বিপুল ওজনের জেরে হাঁটাচলা তো দূরের কথা, বিছানা থেকেই নামতে পারতেন না সৌদি আরবের এই তরুণ। যেখানে চিকিৎসকদের মতে সুস্থ মানুষের বডি মাস ইনডেক্স ১৮.৫ থেকে ২৪.৯-এর মধ্যে থাকা উচিত, সেখানে তাঁর বিএমআই ছিল ২০৪।
4
12
৩. ভয়াবহ স্থূলতার কারণে বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন খালিদ। হাল ছেড়ে দিয়েছিল তাঁর পরিবারও। কিন্তু হঠাৎ করেই এক অপ্রত্যাশিত নির্দেশে বদলে যায় তাঁর জীবন।
5
12
৪. ২০১৩ সালে খালিদের এই চরম দুর্দশার কথা তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর কানে যায়। যুবকের দুর্দশার কথা শুনে চুপ করে থাকতে পারেননি রাজা। বাদশাহ স্বয়ং খালিদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন।
6
12
৫. বাদশাহর নির্দেশে এক বিশেষ বিমানে করে খালিদকে তাঁর দেশের বাড়ি থেকে রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহদ মেডিক্যাল সিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ফাহাদকে বাড়ি থেকে বার করার জন্য একটি বিশেষ ফর্কলিফ্ট ক্রেন ব্যবহার করতে হয় প্রশাসনকে।
7
12
৬. হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর শুরু হয় আসল লড়াই। চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ ও ফিজিওথেরাপিস্টদের এক বিশাল দল খালিদের চিকিৎসা শুরু করে। প্রথমে ওজন কমানোর জন্য জটিল ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করা হয়।
8
12
৭. সফল অস্ত্রোপচারের পর ফাহাদকে একটি কঠোর এবং বিশেষভাবে তৈরি করা ডায়েট চার্ট দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি শুরু হয় বিভিন্ন শারীরিক থেরাপি।
9
12
৮. দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর বিছানায় বন্দি থাকায় তাঁর শরীরের সমস্ত পেশি দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ধীরে ধীরে সেই শক্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
10
12
৯. শুধু শরীর নয়, এই দীর্ঘ লড়াইয়ে ফাহাদ যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে ডাকা হয় মনোবিদ।
11
12
১০. চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং খালিদের ইচ্ছাশক্তির জোরে এক অবিশ্বাস্য রূপান্তর ঘটে। প্রায় পাঁচ বছরের অক্লান্ত চেষ্টার পর ৫৪০ কেজিরও বেশি ওজন কমাতে সক্ষম হন যুবক। ৬১০ কেজি থেকে মাত্র ৬৮ কেজিতে নেমে আসে ওজন।
12
12
১১. যে মানুষটি একসময় নিজের বিছানা ছেড়ে এক পা নড়তে পারতেন না, তিনিই ২০১৮ সালে ওয়াকারের সাহায্যে হাঁটতে শুরু করেন। বর্তমানে প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনে ফিরতে পেরেছেন খালিদ।