অল্প বয়সে বিয়ে, স্বামীর মৃত্যুর পর উচ্চশিক্ষা-খ্যাতি অর্জন, দেশের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়রের উত্তরণের গল্প সত্যিই অণুপ্রেরণার
RD
মঙ্গলবার, 11 মার্চ 2025
1
8
দেশের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার, অল্প বয়সে বিবাহ এবং স্বামীর মৃত্যুর পর খ্যাতি অর্জন করেন। তার পুরো নাম আয়লাসোমায়াজুলা ললিতা। তিনি দেশের প্রথম মহিলা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র।
2
8
আয়লাসোমায়াজুলা ললিতা ১৯১৯ সালের ২৭শে অগাস্ট মাদ্রাজের (বর্তমানে চেন্নাই) একটি তেলুগু-ভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের চার বছর পর কন্য়া সন্তানের জননী হন তিনি। কিন্তু, মেয়ের জন্মের মাত্র চার মাসের মধ্যেই ললিতার স্বামী মারা যান।
3
8
মেয়েকে লালন-পালনের জন্য, ললিতা আবার পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মাদ্রাজ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। সেই সময় পরপুরুষদের সঙ্গে, কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, গিন্ডিতে (সিইজি) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছাকে সমর্থন করেছিলেন ললিতার বাবা। ওই কলেজেই অধ্যাপনা করতেন তিনি।
4
8
ললিতার মেয়ে, শ্যামলা চেনুলু, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। সেই মেয়ের কথায়, সেই যুগেও তাঁর মায়ের কলেজের ছাত্ররা বেশ সহযোগিতাপূর্ণ ব্যবহারও করেছিলেন।
5
8
স্নাতক শেষ করার পর, ললিতা সিমলার সেন্ট্রাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশনে কাজ করতেন এবং তাঁর বাবাকে ধোঁয়াবিহীন চুলা এবং জেলেট্রোমোনিয়াম (একটি বৈদ্যুতিক বাদ্যযন্ত্র) নিয়ে গবেষণা করতে সাহায্য করতেন।
6
8
তিনি পূর্ব ভারতীয় রেলওয়ের বৈদ্যুতিক বিভাগে এক বছর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তারপর ভারত সরকারের বৈদ্যুতিক কমিশনারের কার্যালয়ে টেকনিক্যাল সহকারী হন।
7
8
এরপর, ১৯৪৮ সালে, ললিতা কলকাতায় একটি ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড ইলেকট্রিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (AEI)-তে যোগদান করেন এবং ভারতের বৃহত্তম ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ, ট্রান্সমিশন লাইন এবং সাবস্টেশন লেআউট ডিজাইন করার কাজ করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে অবসর নেওয়ার আগে প্রায় ত্রিশ বছর ধরে AEI (পরে জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি দ্বারা অধিগৃহিত) তে কাজ করেছিলেন।
8
8
ললিতার ইঞ্জিনিয়ারিং সাফল্যের বাইরেও সে নারী অধিকার এবং লিঙ্গ সমতার পক্ষে একজন সোচ্চার সমর্থক ছিলেন। তিনি নারীদের জন্য শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সমান সুযোগে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন।