মুহূর্তে বুঝতে পারে প্রতিপক্ষের রকেট কোথায়, ‘কিলিং রেট’ ৯০-এর বেশি, ইজরায়েল ফতুর হচ্ছে ‘আয়রন ডোম’ বানাতেই!
Riya Patra
বৃহস্পতিবার, 26 জুন 2025
1
9
প্রায় সব দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে এক একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা। যেগুলি মুহূর্তে ব্যহত করতে পারে শত্রু দেশের আঘাত। আমেরিকার তুরুপের তাস গোল্ডেন ডোম। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহের পরে পরেই গোল্ডেন ডোম নিয়ে বড় বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এদিকে ভারতের কাছে রয়েছে, 'গার্ডিয়ানস অফ দ্য স্কাই'। ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকাশসীমা রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বলা হয় গার্ডিয়ান অফ দ্য স্কাই।
2
9
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহের উঠে এসেছে ইরানের প্রধান ভরসা ‘আয়রন ডোম’-এর কথা।
3
9
ইজরায়েলের আয়রন ডোম কী? এটি মূলত সে দেশের অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমের সবথেকে ভিতরের ভাগ। এটি ৭০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে বাধা দিতে পারে এবং এর ‘কিলিং রেট’৯৫ শতাংশ বলে দাবি করা হয়। প্রতিটি আয়রন ডোম ব্যাটারি তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত।
4
9
একটি র্যাডার সনাক্তকরণ ব্যবস্থা, যে রকেট ধেয়ে আসছে তার গতিপথ বোঝার জন্য একটি কম্পিউটার এবং একটি লঞ্চার যা রকেটটি কোনও বিল্ট-আপ বা কৌশলগত এলাকায় আঘাত করার সম্ভাবনা থাকলে ইন্টারসেপ্টর ফায়ার করতে সক্ষম।
5
9
আয়রন ডোম রকেট, আর্টিলারি এবং মর্টার (সি-র্যাম) এর পাশাপাশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
6
9
২০০৬ সালের ইজরায়েল-লেবানন যুদ্ধের সময় থেকে আয়রন ডোমের উৎপত্তি। যখন হিজবুল্লাহ ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছিল।
7
9
ঠিক পরের বছরই, ইজরায়েল ঘোষণা করে যে তাদের রাষ্ট্র পরিচালিত রাফায়েল অ্যাডভান্স সিস্টেমস তাদের শহর এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য একটি নতুন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করবে। এটি ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করা হয়েছিল।
8
9
আয়রন ডোম পিছু কত খরচ হয় ইজরায়েলের? তথ্য, ইজরায়েল জুড়ে আয়রন ডোমের ব্যাটারি স্থাপন করা হয়েছে। একটি আয়রন ডোমের ব্যাটারিতে তিন থেকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার থাকে, যার প্রতিটিতে ২০টি করে তামির ইন্টারসেপ্টর মিসাইল থাকে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের তথ্য, আয়রন ডোমের "তামির" ইন্টারসেপ্টরের প্রতিটির দাম প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ ডলার।
9
9
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালে, ইজরায়েল বিভিন্ন সামরিক সংঘাতে প্রায় ১০০ বিলিয়ন শেকেল (২৮ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করেছে। তাতে সে দেশের সরকারের ঋণের বোঝাও বেড়েছে বিপুল হারে, তথ্য তেমনটাই।