‘এক ছোবলেই ছবি!’ বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ৫ সাপ কোনগুলি?

img

আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাপের কথা শুনলেই অনেকের মেরুদণ্ড দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা সাপের বিষের তীব্রতা মাপেন এল ডি ৫০ নামের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে। সেই তালিকা অনুযায়ী, এক ছোবলে নিমেষে প্রাণ কেড়ে নিতে পারে যে সরীসৃপেরা, তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে এই ৫টি সাপ।

img

১। ইনল্যান্ড তাইপান: বিষের তীব্রতার নিরিখে তালিকার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড তাইপান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাপ এক ছোবলের যে পরিমাণ বিষ নির্গত করে, তাতে অন্তত ১০০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের বা আড়াই লক্ষ ইঁদুরের মৃত্যু হতে পারে। এর বিষ মূলত নিউরোটক্সিক, যা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রকে অকেজো করে দেয়। তবে স্বস্তির বিষয় একটাই, এই সাপ অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির এবং মানুষের বসতি থেকে অনেক দূরে মরু অঞ্চলে বাস করে। তাই এর কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বিরল।

img

২। ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক: বিষাক্ত সাপের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটিও অস্ট্রেলিয়ার একটি সাপের দখলে। নাম - ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক বা বাদামি সাপ। ইনল্যান্ড তাইপানের থেকে বিষের তীব্রতা সামান্য কম হলেও, এটি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ, এই সাপ মানুষের বসতির কাছাকাছি অঞ্চলে থাকতে পছন্দ করে। অত্যন্ত দ্রুতগামী এই সাপ সামান্য উস্কানিতেই হিংস্রভাবে আক্রমণ করে বসে।

img

৩। ডুবোইস সি স্নেক: সাপ মানেই যে শুধু ডাঙার বিপদ নয়। জলেও ওঁত পেতে আছে মৃত্যু। ডুবোইস সি স্নেক হল বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত সামুদ্রিক সাপ। পাপুয়া নিউ গিনি এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলের প্রবাল প্রাচীরে এদের বাস। এদের বিষও মারাত্মক নিউরোটক্সিক। যদিও এরা সাধারণত খুব আক্রমণাত্মক নয়, তবে বিপদে পড়লে ছোবল মারতে ছাড়ে না

img

৪। ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক: তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে আরও একটি সামুদ্রিক সাপ। হলুদ পেটের এই সাপটিকে প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে ভাসতে দেখা যায়। এদের বিষের তীব্রতাও মারাত্মক। তবে এরা সাধারণত গভীর সমুদ্রেই থাকে এবং মাছ শিকার করে খায়। মানুষের সঙ্গে এদের সাক্ষাৎ খুব কমই ঘটে।

img

৫। কোস্টাল তাইপান: এরা তাইপান পরিবারের আর এক সদস্য। ইনল্যান্ড তাইপানের খুড়তুতো ভাই বলা চলে। অস্ট্রেলিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনির উপকূলবর্তী অঞ্চলে এদের অবাধ বিচরণ। বিষের তীব্রতায় তালিকার শীর্ষে থাকা ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে থাকলেও, এটি বিশ্বের দীর্ঘতম বিষধর সাপগুলির মধ্যে অন্যতম। এরা আক্রমণও করে বিদ্যুৎগতিতে। অ্যান্টিভেনম আবিষ্কারের আগে এই সাপের কামড় মানেই ছিল নিশ্চিত মৃত্যু।