২০২৬ সালেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ
সুমিত চক্রবর্তী
বৃহস্পতিবার, 30 অক্টোবর 2025
1
10
বিশ্ববিখ্যাত ভবিষ্যৎবক্তা বাবা ভাঙ্গা-র একটি পুরনো ভবিষ্যদ্বাণী আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমন এক দাবি যে, তিনি ২০২৬ সালে একটি বৃহৎ বিশ্বের সংঘাত বা যুদ্ধের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই ভবিষ্যদ্বাণী ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, জল্পনা এবং বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
2
10
বাবা ভাঙ্গা ছিলেন বুলগেরিয়ার এক অন্ধ ভবিষ্যৎবক্তা, যিনি ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালে মারা যান। তিনি জীবদ্দশায় নানা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যার অনেকগুলো পরবর্তীতে সত্য বলে দাবি করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, ৯/১১ হামলা, এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির মতো ঘটনাও তিনি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বলে তার অনুসারীরা দাবি করেন।
3
10
তার আসল নাম ছিল ভ্যাঙ্গেলিয়া পান্দেভা দিমিত্রোভা। ছোটবেলায় এক ভয়াবহ ঝড়ে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান, এরপর থেকেই তিনি দাবি করেন যে তার মধ্যে ভবিষ্যৎ দেখার এক বিশেষ ক্ষমতা এসেছে।
4
10
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বাবা ভাঙ্গা তার এক ভবিষ্যদ্বাণীতে বলেছিলেন যে ২০২৬ সাল হবে বিশ্বের ইতিহাসে একটি অস্থির ও বিপজ্জনক সময়, যখন একটি “বৃহৎ বিশ্বের সংঘাত” শুরু হতে পারে। তিনি নাকি উল্লেখ করেছিলেন, “বিশ্ব দুটি ভাগে বিভক্ত হবে, আগুন ও ধ্বংসে ভরে যাবে আকাশ।”
5
10
অনেকে মনে করেন, এটি হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত, আবার কেউ কেউ বলেন এটি প্রযুক্তিগত বা সাইবার যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণীও হতে পারে। বিশেষত বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে — ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, এবং এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা — এই ভবিষ্যদ্বাণীকে অনেকেই গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন।
6
10
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। কেউ এটিকে “ভবিষ্যতের ভয়াবহ সতর্কবার্তা” বলে মনে করছেন, আবার অনেকে বলছেন এটি “পুরোপুরি কাকতালীয়” বা “অতিরঞ্জিত ব্যাখ্যা।”
7
10
বিভিন্ন বিশ্লেষক জানিয়েছেন, যদিও বাবা ভাঙ্গার কিছু ভবিষ্যদ্বাণী পরবর্তীতে ঘটনাক্রমে মিলেছে, তবুও তার অধিকাংশ ভবিষ্যদ্বাণী অস্পষ্ট, প্রতীকী এবং ব্যাখ্যাভিত্তিক। তাই সেগুলোকে ইতিহাসের নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে মেলানো অনেক সময়ই অনুমানের ওপর নির্ভর করে।
8
10
বিশ্ব বর্তমানে বহু সংঘাত, অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও পরিবেশগত সংকটে জর্জরিত। ইউক্রেন ও গাজার যুদ্ধ, চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা, এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে হুমকি—সব মিলিয়ে বিশ্ব রাজনীতি এখন অস্থিতিশীল। এই পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের সম্ভাব্য যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী মানুষের মধ্যে এক ধরণের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
9
10
যদিও অনেকেই বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস করেন, বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এমন ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং শান্তি ও কূটনৈতিক সমাধানের পথে এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ। ইতিহাস প্রমাণ করে, মানবজাতি বহু সংকট পেরিয়েও টিকে আছে, এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব।
10
10
বাবা ভাঙ্গার কথায় আতঙ্ক নয়, বরং সতর্কতার বার্তা খোঁজা উচিত — যেন মানবতা আবারও সংঘাতের আগুনে না জ্বলে ওঠে।