রবিবার। ছুটিবার। ছোট থেকে মোটামুটি এই কথা শুনেই বড় হয় বেশিরভাগ মানুষ। অবশ্যই এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলি ইমারজেন্সি। যেগুলির আলাদা করে রবিবার, মনডে ব্লুজ কিছুই হয় না। তবে দেশে বেশিরভাগ জায়গায় আদতে ছুটির দিন হিসেবে দাগ দেওয়া রবিবারকেই।
2
8
সে সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি হোক। এলাকার দোকান হোক কিংবা আরও নানাবিধ ব্যবস্থায়। তবে জানেন কি এই রবিবারে দেশ জুড়ে ছুটির দিন কিন্তু সরকার, কিংবা রাষ্ট্রপতি ঠিক করে দেননি। বরং নিজেদের এক নির্দিষ্ট দিনের ছুটির দাবিতে আদায় করে নেওয়া হয়েছে।
তথ্য, ১৮৪৩ সালের প্রথম দিকে ঔপনিবেশিক ভারতে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের রবিবার ছুটি দেওয়া হত। ওইদিন তাঁরা গির্জায় যেতেন প্রার্থনার জন্য। ছুটি দেওয়া হত মূলত সেই কারণেই।
5
8
কিন্তু ব্রিটিশদের কলকারখানায় কাজ করা ভারতীয় শ্রমিকদের কোনও ছুটি ছিল না। তখনই সুর চড়ান মিল শ্রমিক নেতা নারায়ণজী মোঘাজী লোখান্ডে। তিনি প্রথম দাবি করেন, শ্রমিকদের সপ্তাহে একদিন ছুটি দেওয়া উচিত।
6
8
অন্তত প্রার্থনার জন্য এই ছুটি মঞ্জুর হোক। দাবি করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা পূরণ হতে লেগে যায় লম্বা সময়। লোখান্ডে দাবি করেছিলেন তাঁদের খান্ডোবা পূজার দিন, রবিবারেই ছুটি দিতে।
7
8
১৮৯০ সালে, প্রায় সাত বছরের লড়াইয়ের পর, রবিবার মহারাষ্ট্রে কর্মীদের ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়।
8
8
তথ্য, প্রথমে ওই ছুটির দিনগুলির মাইনে দেওয়া হত না। পরে শুরু হয় অর্ধেক মাইনে দেওয়া। বেতন সহ সপ্তাহে একদিন ছুটি আরও অনেক পরের ফল।