Purple Honey cost and other details Purple Honey cost and other details

বেগুনি মধু, যেমন বিরল তেমন দামি! ৭৫ হাজার টাকা কিলো রহস্যময় এই মধু খেলে কী হয়? জানলে চোখ কপালে উঠবে

img

মধু সাধারণত সোনালী বা হালকা বাদামী রঙের হয়, কিন্তু প্রকৃতির ভান্ডারে এমন কিছু বিস্ময়কর জিনিসও রয়েছে যা আমাদের সাধারণ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। এমনই এক বিরল এবং রহস্যময় প্রাকৃতিক সৃষ্টি হল বেগুনি মধু।

img

এই ‘পার্পল হানি’ অত্যন্ত বিরল একপ্রকারের মধু। এটি একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, নর্থ ক্যারোলিনার স্যান্ডহিলস অঞ্চলে পাওয়া যায়।

img

এই রহস্যময় মধু কিন্তু প্রতি বছর উৎপাদিত হয় না, কয়েক বছর পর পর হঠাৎ করেই মৌচাকে এই মধু পাওয়া যায়।

img

কেন এই মধু বেগুনি রঙের হয়? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা। তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন নর্থ ক্যারোলিনার ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যালুমিনিয়াম রয়েছে। গ্রীষ্মকালে যখন বৃষ্টি কম হয়, তখন গাছের শিকড় মাটির গভীর থেকে খনিজ পদার্থ শোষণ করে।

img

সম্ভবত মৌমাছিরা যখন সাউদার্ন লেদারউড বা সাওয়ারউড গাছের ফুল থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে, তখন ফুলের নির্যাসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (বিশেষত অ্যান্থোসায়ানিন) ওই অ্যালুমিনিয়ামের সংস্পর্শে আসে।

img

অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে অ্যান্থোসায়ানিনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলেই মধুর রঙ বেগুনি বা গাঢ় নীল হয়ে যায়। মাটির পিএইচ বা অম্ল-ক্ষারের অনুপাতও এই বিক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়।

img

অনেকে আবার মনে করেন মৌমাছি যখন স্থানীয় কুডজু নামক গাছের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে, তখন তার রঙ বেগুনি হয়। কারণ কুডজু ফুলের রঙ বেগুনি।

img

বেগুনি মধুর স্বাদ প্রচলিত মধুর থেকে কিছুটা আলাদা। স্বাদে ফলের মতো একটি আমেজ পাওয়া যায়। অনেকে বলেন এর স্বাদ কিছুটা আঙুর বা বেরি ফলের মতো। তবে এটি সাধারণ মধুর তুলনায় কিছুটা কম মিষ্টি। গন্ধেও হালকা ফলের সৌরভ থাকে।

img

বেগুনি মধু অত্যন্ত বিরল এবং এর উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতি ও আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল। সীমিত উৎপাদন এবং বিশ্বজোড়া চাহিদার কারণে এর বাজারমূল্য সাধারণ মধুর তুলনায় অনেক গুণ বেশি। বিশুদ্ধ মধুর দাম ৭৫ হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

img

এখন প্রশ্ন হল এই মধু কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? অনেকে মনে করেন এই মধুতে যেহেতু অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব বেশি থাকে তাই এই মধু সাধারণ মধুর তুলনায় বেশি পুষ্টিকর। তবে বিষয়টির উপর এখনও গবেষণা প্রয়োজন।