ছুঁতে পারবে না ইউরিক অ্যাসিড! এই ঘরোয়া পানীয় সকাল সকাল পান করলেই ‘ভ্যানিশ’ হবে ‘দুষ্টু ব্যথা’
Akash Debnath
সোমবার, 30 জুন 2025
1
7
শহুরে জীবনযাত্রা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে অনেকেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে যেমন ওষুধ প্রয়োজন, তেমনই দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাস। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এমন কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক পানীয়ের উল্লেখ আছে যেগুলি নিয়মিত সেবনে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
2
7
লাউয়ের রস: লাউ শরীর ঠান্ডা রাখে। এটি মূত্রবর্ধক গুণের জন্যও পরিচিত। লাউ শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড নিষ্কাশনে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস টাটকা লাউয়ের রস খেলে উপকার মেলে।
3
7
আদা ও মধুর জল: আদা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এক কাপ গরম জলে এক চামচ আদা কুচি ফুটিয়ে নিয়ে তাতে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং ইউরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় থাকে।
4
7
আমলকির রস: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস টাটকা আমলকির রস খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে।
5
7
লেবু ও গরম জল: লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে অম্ল - ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের দাদাগিরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম জলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে খেলে সুফল পাবেন।
6
7
শসার রস: শসা ডিউরেটিক খাবার হিসেবে কাজ করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন ও ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে। শসা কুচি জলে ভিজিয়ে রেখে বা সরাসরি শসার রস পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় থাকে।
7
7
সতর্কতা: তবে মনে রাখবেন এই পানীয়গুলো ওষুধের বিকল্প নয়। কেবল নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে গ্রহণ করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। দীর্ঘদিন সমস্যা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।