উত্তম থেকে সুচিত্রা, প্রসেনজিৎ থেকে দেব - যে ৮ বাঙালি অভিনেতার দেশাত্মবোধক ছবি দেখলে চোখে জল আসবেই!

img

সব্যসাচী (১৯৭৭): উত্তম কুমারের ঐতিহাসিক চরিত্রে উজ্জ্বল উপস্থিতি। শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ অবলম্বনে এই সিনেমা তুলে ধরে এক বিপ্লবীর আত্মত্যাগ আর দেশপ্রেমের কাহিনি। ‘সব্যসাচী’ যেন নেতাজি আর রাসবিহারী বসুর ছায়া হয়ে পর্দায় জীবন্ত! পরিচালনা: পীযূষ বসু, মুখ্য ভূমিকায়: উত্তম কুমার।

img

দেবী চৌধুরাণী (১৯৭৪): বাংলা সিনেমায় নারী বিপ্লবের এক জ্বলন্ত প্রতীক। বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস থেকে রুপোলি পর্দায় উঠে এসেছেন প্রফুল্ল থেকে 'দেবী' হয়ে ওঠা এক বিদ্রোহিনী। সুচিত্রা সেনের অনবদ্য অভিনয় এই ছবিকে দিয়েছে এক ঐতিহাসিক শান। পরিচালনা: দিলীপ রায়। মুখ্য ভূমিকায়: সুচিত্রা সেন। ছিলেন রঞ্জিত মল্লিকও।

img

বাঘা যতীন (২০২৩): নতুন যুগে পুরোনো বীরত্বের আধুনিক ভাষ্য। দেব অভিনীত এই বায়োপিকে উঠে আসে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীন - এর শৌর্যগাথা—যিনি একাই বাঘকে হারিয়েছিলেন, ব্রিটিশদের তো দূরের কথা! ছবির পরিচালকের আসনে বসেছিলেন অরুণ রায়। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন দেব।

img

এগারো (২০১১): ফুটবল দিয়ে ব্রিটিশদের ‘গোল’ দিল মোহনবাগান! ১৯১১-র ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ড জয়ের গল্প। খেলার মাঠে ব্রিটিশদের হারিয়ে জাতীয়তাবাদের পতাকা ওড়ানো—এটাই এই ছবির মূল সুর। পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছিলেন অরুণ রায়।

img

গুমনামি (২০১৯) : নেতাজির রহস্যময় অন্তর্ধান নিয়ে বাঙালির আজও জ্বলন্ত কৌতূহল। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘গুমনামি বাবা’ থিওরি নিয়ে তৈরি এই ছবি প্রশ্ন তো তোলে, উত্তরও কিছু ইঙ্গিত দিয়ে যায়। পরিচালনা: সৃজিত মুখার্জি। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায়: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

img

গোলন্দাজ (২০২১): ভারতীয় ফুটবলের জনকের জীবনী। নাগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর পথচলা, ব্রিটিশদের খেলার মাঠে প্রতিহত করার লড়াই—‘গোলন্দাজ’ বল মাঠে না, মনেও গোল দেয়! ছবি পরিচালনা করেছিলেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন দেব।

img

আনন্দমঠ (১৯৫১): ‘বন্দে মাতরম’-এর রূপোলি জন্ম। বঙ্কিমচন্দ্রের কালজয়ী উপন্যাস থেকে তৈরি এই ছবিতে উঠে আসে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ আর জাতীয় গানের আবেগ। দেশপ্রেম এখানে পূজার মত পবিত্র। ছবি পরিচালনায় দায়িত্বে ছিলেন হেমচন্দ্র চন্দ। সুরকারের দায়িত্ব সামলেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।

img

রাজকাহিনী (২০১৫): সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সাহসী উপস্থাপনা দেশভাগ নিয়ে এক অন্যধরনের ছবি তুলে ধরেছিল বড়পর্দায়। ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট ঘোষিত র্যা ডক্লিফ লাইন ঘিরে, এক পতিতালয়কে কেন্দ্র করে তৈরি হয় তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সায়নী ঘোষ আর সাহিনী সরকারের মতো অভিনেত্রীরা সেই পতিতালয়ের নারীদের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেন—যারা দেশভাগের নামে তাদের ‘ঘর’ ছাড়তে অস্বীকার করেন। কিছু তথ্যগত ত্রুটি থাকলেও ছবির বিষয়বস্তু এবং নির্মাণশৈলী প্রশংসিত হয়। জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভেসে গিয়ে সৃজিত পরে হিন্দিতে একই গল্প বানান ‘বেগম জান’ নামে, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বিদ্যা বালন।