স্নিগ্ধ, স্বচ্ছ নীল জলরাশি। দূর দূরান্ত যতদূর চোখ যায়। মনের শান্তি, প্রাণের আরাম। কিন্তু খোলা চোখে কি ধরা পড়ছে ভয়ানক বিপদ? দেখা যাচ্ছে কি ঘনিয়ে আসছে ভয়াবহ দিন?
2
9
খোলা চোখে বোঝার উপায় থাকে না অনেক বিপদই। কিন্তু ঘটে। দিনে দিনে, তলে তলে। যখন সামনে আসে, তখন আর হাতে সময় থাকে না বেশি। যদিও এখনকার দিনে বিজ্ঞান অনেক উন্নত। আগে থেকেই সতর্ক করে দেয়, কী হতে চলছে, কী হবে, না হবে সেসব বিষয়ে।
3
9
গবেষণা বলছে, দিনে দিনে গাঢ় হচ্ছে, কালো হচ্ছে সমুদ্রের জল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গত দু’ দশকে বিশ্বের ২১ শতাংশের বেশি সমুদ্র উল্লেখযোগ্যভাবে কালো হয়ে যাচ্ছে, যা ৭৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকাকে প্রভাবিত করছে।
4
9
প্লাইমাউথ ইউনিভার্সিটি এবং প্লাইমাউথ মেরিন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের এই সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি জার্নালে।
5
9
তাঁদের পর্যবেক্ষণ, সমুদ্রের আলোর বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনের ফলে ফোটিক জোনের গভীরতা হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ, অর্থাৎ সমুদ্রের সূর্যালোকিত স্তর যেখানে ৯০ শতাংশ সামুদ্রিক জীবন সমৃদ্ধ হয়, বদল ঘটছে সেই স্তরেই।
6
9
ফোটিক জোনের গভীরতা হ্রাস পাওয়ায় বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে। ২০০৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত স্যাটেলাইট ডেটা এবং মহাসাগরীয় মডেল ব্যবহার করে এই বিষয়ে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে।
7
9
প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক সংরক্ষণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ থমাস ডেভিস এই প্রসঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, এই প্রবণতা সামুদ্রিক জীবগুলির বিপদের সংকেত দিচ্ছে।
8
9
যেসব জীব সালোকসংশ্লেষণ, প্রজনন এবং খাদ্য গ্রহণের জন্য আলোর উপর নির্ভরশীল, বঢ় সমস্যা হবে তাদের।
9
9
উপকূলীয় জলরাশির এই প্রবণতার কারণ হল কৃষি পুষ্টি উপাদান এবং বৃষ্টির জলের মাধ্যমে মাটি সমুদ্রের জলে মিশে যাওয়া।