নিজের মহিমায় ফিরলেন ট্রাম্প, ২৪ ঘন্টাতেই ফিরল স্বস্তি
Sumit Charkaborty
শুক্রবার, 30 মে 2025
1
9
স্বস্তি ফিরল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কপালে। মার্কিন ফেডারেল কোর্ট সাময়িকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতি বহাল রাখার নির্দেশ দিলেন।
2
9
আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক আদালতে ধাক্কা খেয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আরোপের নীতি। আদালত ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তকে ‘ক্ষমতা-বহির্ভূত’ বলে আখ্যা দেয় এবং শুল্কনীতি রদ করে দেয়।
3
9
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই নীতি আপাতত বহাল রাখার পক্ষে রায় দিল আমেরিকারই একটি আপিল আদালত। আপিল আদালতের এই রায়ে হোয়াইট হাউস খানিক স্বস্তি ফিরে পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
4
9
বুধবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক আদালতের রায়ের পরেই আপিল আদালতের দ্বারস্থ হয় ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের তরফে আদালতে আর্জি জানিয়ে বলা হয়, বাণিজ্য আদালতের রায়কে আপাতত রদ বা স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হোক।
5
9
ট্রাম্প প্রশাসনের সেই আর্জি মেনেছে আপিল আদালত। তবে আগামী ৫ জুনের মধ্যে মামলাকারীদের এবং ৯ জুনের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
6
9
আপিল আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে সওয়াল করে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় আমদানি হওয়া পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে তা দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সওয়াল-জবাবের পর আপিল আদালত জানায়, আপাতত বাণিজ্য আদালতের রায় স্থগিত থাকছে।
7
9
এই ‘জরুরি পরিস্থিতি’র প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই আদালতে শুল্কনীতি বলবৎ করার পক্ষে সওয়াল করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এক্ষেত্রে ১৯৭৭ সালের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট’কেও ঢাল করা হয়। কিন্তু আদালতের তিন বিচারক জানিয়ে দেন, আপৎকালীন এই আইনও প্রেসিডেন্টকে অন্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ করে আমেরিকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার চূড়ান্ত ক্ষমতা দেয় না।
8
9
২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের উপর ‘পাল্টা’ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর যত পরিমাণ শুল্ক চাপায়, ঠিক তত পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে সংশ্লিষ্ট দেশের রফতানি করা পণ্যে। আমেরিকায় রফতানি করা সমস্ত পণ্যে ১০ শতাংশ বনিয়াদি কর চাপানো হয়।
9
9
ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি ছিল, এর ফলে আমেরিকার স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ভারতের উপরেও চাপানো হয় ২৬ শতাংশ বাড়তি শুল্ক। তার পর এই সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই।