Do not throw peels of these fruits you will be surprised to know amazing health benefits Do not throw peels of these fruits you will be surprised to know amazing health benefits

ভুলেও ফেলে দেবেন না ফলের এই অংশ, নিয়ম করে খেলেই কুপোকাত হবে জটিল রোগ

img

আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরের জন্য ফল উপকারী, একথা সকলেরই জানা। ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন, খনিজের মতো পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর নানা রকম ফল। নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এককথায় সুস্বাস্থ্যের জন্য ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই।

img

অনেক ফলেরই খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন শুধু ফল নয়, ফলের খোসাও পুষ্টিগুণে ভরপুর। সুস্বাস্থ্য পেতে এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার। এমনকী এমন কিছু ফল রয়েছে যেগুলির আসল গুণ লুকিয়ে রয়েছে তার খোসাতেই। তাহলে কোন ফলের খোসা খেলে কী উপকার পাবেন, জেনে নিন ঝটপট।

img

আপেলঃ ভরপুর মাত্রায় পুষ্টি রয়েছে আপেলের খোসায়। ফলের তুলনায় এতে বেশি মাত্রায় ভিটামিন কে, এ, সি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। একইসঙ্গে ফাইবারে সমৃদ্ধ আপেলের খোসা হজমে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। এটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী।

img

কমলালেবুঃ কমলালেবুর খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সহায়তা করে এবং এমনকী কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা চা, মিষ্টি কিংবা খাবারের প্রাকৃতিক স্বাদ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো ত্বকে খুব ভাল এক্সফলিয়েটরের কাজ করে।

img

কলাঃ ভিটামিন বি৬ এবং বি১২, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ কলার খোসা। এটি প্রাকৃতিকভাবে দাঁত সাদা করে, ত্বকের জ্বালাপোড়া প্রশমিত করতে পারে। রান্নায় কিংবা স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন কলার খোসা।

img

আমঃ আমের খোসায় ভিটামিন এ ও সি-এর সঙ্গে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ম্যাঙ্গিফেরিন থাকে। এগুলি অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং হজমে সহায়তা করতে পারে। আমের খোসা মার্মালেড, আচার, অথবা চিপস হিসেবে বেক করে খেতে পারেন।

img

কিউইঃ কিউইর খোসাতেও ভরে ভরে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফাইবার, ফোলেট এবং ভিটামিন ই। এটি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনই ত্বকের হাল ফেরাতেও কার্যকর।

img

বেদানাঃ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বেদানার খোসা। শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতে, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই ফলের খোসা। বেদানার খোসার গুঁড়ো চায়ে বা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

img

শশাঃ শসার খোসায় অদ্রবণীয় ফাইবার, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা হাড়ের ও চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। স্যালাডে অথবা রান্না করে শশা খাওয়ার সঙ্গে ত্বকেও শশা ব্যবহার করতে পারেন।

img

তরমুজঃ তরমুজের খোসায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এটি হজমে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এই খোসা আচার অথবা স্মুদিতে যোগ করে খেতে পারেন।

img

নাশপাতিঃ নাশপাতির খোসা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজম ক্ষমতা ঠিক রাখে। খোসা সহ নাশপাতি খেলে বেশি উপকার পাবেন।