আর ২৪ ঘণ্টা, অতি ভারী বৃষ্টির দাপট শুরু বাংলা সহ ১০ রাজ্যে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মান্থা কখন স্থলভাগে প্রবেশ করবে?

img

সোমবার ভোররাতেই অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মান্থা দক্ষিণ পশ্চিম, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। গত ছ'ঘণ্টায় ১৫ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে অগ্রসর হচ্ছে এটি।

img

তামিলনাড়ু থেকে ৫৬০ কিমি পূর্ব - দক্ষিণ পূর্বে, অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া থেকে ৬২০ কিমি দক্ষিণ - দক্ষিণ পূর্বে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৬৫০ কিমি দক্ষিণ - দক্ষিণ পূর্বে, ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৭৯০ কিমি দক্ষিণে, পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৮১০ কিমি পশ্চিমে রয়েছে।

img

মঙ্গলবার সকালেই মধ্যে মান্থা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি এগিয়ে যাবে উত্তর পশ্চিম দিকে। আগামিকাল সকালেই আরও শক্তি বাড়াবে এই ঘূর্ণিঝড়।

img

মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল মছলিপত্তনাম - কলিঙ্গপত্তনাম (কাকিনাড়ার কাছে) দিয়ে বয়ে যাবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মান্থা। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিমি হতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিমিও হতে পারে।

img

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া এবং মছলিপত্তনম উপকূলের মধ্যে কোনও একটি জায়গায় ল্যান্ডফল হবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মান্থার। এর জেরে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

img

আগামী মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র। এই তিনদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

img

ঘূর্ণিঝড় মান্থার প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কর্নাটক, রাজস্থান, গুজরাট, কেরল, মাহে, ওড়িশা, রয়েলসীমা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও করাইকালে। এছাড়া ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কঙ্কন-গোয়া ও মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও।