দিনে ১০০ সিগারেট! মদ-মাংসের লোভ, এক ‘রহস্যময় বাবা’র কৃপায় ঠিক পথে ফেরেন কাপুর পরিবারের এই অভিনেতা?

img

বলিউডের কিংবদন্তি শাম্মি কাপুর মদ এবং সিগারেটের প্রতি আসক্ত ছিলেন। তিনি প্রতিদিন মদ্যপান করতেন এবং একটি রাতও তা ছাড়া পার হত না। পর্দায় যেমন উজ্জ্বল ও মজাদার ছিলেন, বাস্তবে নাকি তিনি সমানভাবে ক্ষিপ্র স্বভাবের এবং জেদি ছিলেন। কিন্তু এক রহস্যময় যোগী, হায়দাখান বাবার সঙ্গে স্বাক্ষাতের পর তাঁর জীবন সম্পূর্ণ বদলে দেয়।

img

১৯৭৪ সালে শাম্মির স্ত্রীর পরিবার সেই বাবাকে তাঁদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। শাম্মি তখন সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তেমন আগ্রহী ছিলেন না। শুরুতে তিনি ঘরের এক কোণে বসে বাবার ছবি তুলছিলেন। কিন্তু হঠাৎ অভিনেতা অনুভব করেন, সেই বাবার দৃষ্টি সরাসরি তাঁর উপর। সেই মুহূর্তেই তাঁর মধ্যে কিছু একটা বদলে যায়।

img

এরপর শাম্মি হায়দাখান বাবার আশ্রম নৈনিতালে যান। সঙ্গী মদ, মাংস এবং সঙ্গীত। আশ্রমে পৌঁছে বাবা হেসে বলেন, “মহাত্মাজি, আপনি এসেছেন!” এই এক বাক্যই শাম্মির হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

img

আশ্রমে ১২ দিন অবস্থানকালে তিনি মদ পান করেননি, মাংসও খাননি, এবং তার প্রয়োজনও অনুভব করেননি। ধীরে ধীরে তিনি মদ এবং সিগারেট ত্যাগ করে সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক জীবন যাপন শুরু করেন।

img

শাম্মিকে বলিউডের হার্টথ্রব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর নাচের দক্ষতা, আকর্ষণীয় হাসি এবং স্টাইল দর্শকদের মুগ্ধ করত। তিনি ‘জিও নয়া জিন্দেগি’, ‘রোমিও’, ‘খিলাড়ি’ সহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে ১৯৫০-৬০-এর দশকে তাঁর ছবিগুলি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।