'না না, বড় বিপদ হবে', দীপাবলি এলেই 'অভিশাপ'-এর ভয়ে সিঁটিয়ে যায় গোটা গ্রাম! একদিন আগেই যা হয় সেখানে, জানলে চমকে যাবেন

img

দিওয়ালি, দীপাবলি। আলোর উৎসব। হাতে আর দিনও নেই একটা গোটা। কয়েকঘণ্টা। ইতিমধ্যে দেশ যেন সেজে উঠেছে আলোর মালায়। ঘর, ব্যালকনি, রাস্তা, চতুর্দিকে আলোর রোশনাই। ভিড় বাজির দোকানে। কেউ কেউ বাজি, ফুলঝুরি কিনে প্রস্তুত। দীপাবলির অন্ধকারের রাত, আলোয় সাজিয়ে দেবেন বলে।

img

গ্রাম থেকে শহর, দেশ প্রস্তুত। কোন শহরে কত আলো বিক্রি হয়েছে তা যেমন নজরে, ইতিমধ্যে কোন শহর কতটা সেজে উঠেছে, নজরে তাও।

img

সেসবের মাঝেই আলোচনা, ছোট্ট এক গ্রামকে নিয়ে। মধ্যপ্রদেশের মান্ডলা জেলার ধনগাঁও। আলোর উৎসব এলেই, ভয়ে সিঁটিয়ে যায় গোটা গ্রাম। দীপাবলিতে আলো জলে না, বাজি ফাটে না। যেদিন দূর দূরান্তে যেদিকে চোখ যায় কেবল আলো আর আলো, সেদিন ওই গ্রাম থাকে কার্যত নিশ্চুপ।

img

বদলে, একদিন আগে, তারা পালন করে আলোর উৎসব। দীপাবলির একদিন আগে প্রদীপ জ্বালিয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে এবং একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উযদাপন করেন গ্রামবাসীরা।

img

কিন্তু কেন দীপাবলিতে পালন করেন না উৎসব? গোটা দেশের থেকে কেন ভিন্ন নিয়ম এই গ্রামে? ইতিউতি কান পাতলে শোনা যায়, দীপাবলির উতসব-উদযাপন নিয়ে ওই গ্রামে রয়েছে জনশ্রুতি।

img

শোনা যায়, ২০০ বছর আগে গ্রামের এক মহিলা স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর চিতার আগুনে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি গ্রামবাসীদের অভিশাপ দেন, ওই গ্রামে আর কখনও দীপাবলি উদযাপন করা হবে না। জনশ্রুতি, ওই ঘটনার পর থেকে, অভিশাপের কারণে, ধনগাঁও-এ আর কখনও দীপাবলির দিনে আলোর উৎসব পালিত হয় না।

img

অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার হাম্মু গ্রামেও এই একই জনশ্রুতি রয়েছে। আত্মহত্যা এবং অভিশাপ, এই দুই জনশ্রুতির কারণে ওই গ্রামে পালিত হয় না দীপাবলি।

img

ধনগাঁও প্রসঙ্গে যদিও অন্য জনশ্রুতিও রয়েছে। অনেকেই আবার বলেন, বহু যুগ আগে, গ্রামদেবতা, খেরমাই মাতা, একজন গ্রামবাসীর স্বপ্নে আসে। বলে, গ্রামের ভালর জন্য কী কী করতে হবে। তখন থেকেই নাকি দীপাবলি, হোলি, সব একদিন আগে পালিত হয় ওই গ্রামে। ধারণা, গোটা দেশের সঙ্গে একদিনে উৎসব পালন করলে, ফসল বা পশুপাখির ক্ষতির হবে।

img

তথ্য, বিহারের দারভাঙ্গা জেলার দুটি গ্রাম, নওয়াদা এবং পাঘারি, ১২৯৬ সালের পর থেকে, এক বিশেষ কারণে একদিন আগে দীপাবলি উদযাপন করে।