২০২৫ সালে পাঁচ বার দেখা মিলল ‘তার’, শেষ তিন মাসে কি আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে পৃথিবীবাসীর জন্য

img

‘তার’ দেখা মিললেই সকলের মনে আশঙ্কা উঁকি দিতে থাকে। তার আগমনে সুনামি, ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়। চলতি বছরের ১০ মাসে ১০ বার দেখা মিলেছে ‘ডুমসডে ফিশ’ বা ওরফিশের।

img

এই সামুদ্রিক প্রাণীটি দুর্ভাগ্য বয়ে আনার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এটি সমুদ্রের গভীরে বাস করে এবং খুব কমই ভূপৃষ্ঠে আসে। জাপানিদের মতে, বিশ্বাস করা হয় যে ডুমসডে ফিশ কেবল তখনই উপরে উঠে আসে যখন খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে।

img

এই বছর প্রথমবারের মতো ডুমসডে ফিশ দেখা গিয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। মেক্সিকোর বাহা ক্যালিফোর্নিয়া সুর উপকূলে ভেসে আসা একটি মাথাবিহীন ওরফিশ। সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণকারীদের একটি দল ‘চকচকে মাছ’টিকে উপকূলে নড়াচড়া করতে দেখেছিলেন।

img

২০২৫ সালের মে মাসে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে ৩০ ফুট লম্বা একটি ওরফিশ ধরা পড়ে। এটি এত বিশাল ছিল যে পুরো মাছটিকে ধরে রাখার জন্য সাতজন লোকের প্রয়োজন হয়েছিল।

img

২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো ওরফিশ দেখা যায়। ২ জুন তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে ভেসে আসে সাপের মতো দেখতে প্রাণীগুলির মধ্যে একটি। সিবিল রবার্টস নামে এক বাসিন্দা এই ডুমসডে ফিশ দেখতে পান। এটি তিন মিটার লম্বা ছিল।

img

এই বছরের জুন মাসে নিউজিল্যান্ডের তীরে ভেসে আসে দু’টি ওয়ারফিশ। দু’টিরই মাথা ছিল না। প্রথমটি জুনের প্রথম সপ্তাহে ডানেডিনের কাছে দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয়টি নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বার্ডলিংস ফ্ল্যাটের কাছে একটি পাথুরে সৈকতে দেখা গিয়েছিল।

img

সোমবার, ৬ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামানাথপুরম জেলায় ফের একটি ডুমসডে ফিশ ধরা পড়ে। মান্নার উপসাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে আসছিলেন জেলেরা এবং তীরে পৌঁছনোর পর তাঁরা তাঁদের ধরা মাছের মধ্যে একটি ওরফিশ দেখতে পান। ওজন ছিল ছয় কেজি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতে দেখা গেল ডুমসডে ফিশ।

img

জাপানি লোকগাঁথায় ওয়ারফিশকে দুর্যোগের বাহক বলে ধরা হয়। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে ২০ মিটার থেকে ২০০ মিটার গভীরে এই প্রাণীরা তাদের এলাকা সচরাচর ত্যাগ করে না বলে জানা যায়। তাই যখন তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়, তখন এটিকে একটি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডুমসডে ফিশ ৩৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কিছু ওরফিশ ৫৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে বলেও ধারণা করা হয়।