উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সোনার গয়না কী আয়করের অন্তর্ভুক্ত? দেখে নিন নিয়মের চাবিকাঠি

img

আপনি যদি আপনার বাবা-মায়ের কাছ থেকে সোনার গয়না উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে এতে কি আয়কর দিতে হবে? সুখবর হল, ভারতে উত্তরাধিকার হিসেবে সোনা পাওয়া করযোগ্য আয়ের আওতায় পড়ে না। অর্থাৎ শুধু সোনা পাওয়ার জন্য আপনাকে কোনও কর দিতে হয় না।

img

তবে করের প্রসঙ্গ সামনে আসে তখনই, যখন আপনি সেই সোনার গয়না বিক্রি করতে যান। বিক্রির সময় যে লাভ হয়, সেটিই মূলধনী মুনাফা হিসেবে ধরা হয়। আর কর আরোপিত হয় কেবল সেই লাভের অংশের ওপর, পুরো সোনার মূল্যের ওপর নয়।

img

কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্রয়মূল্য ধরা হবে সেই দাম, যা আপনার বাবা-মা বা যিনি থেকে সোনা উত্তরাধিকার সূত্রে এসেছে, তিনি একসময় দিয়েছিলেন। যদি সোনা কেনা হয়ে থাকে ২০০১ সালের ১লা এপ্রিলের আগেই, তাহলে ওই তারিখে সোনার ন্যায্য বাজারদর ধরা যাবে। করদাতার সুবিধা হলে সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে।

img

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, এই বাজারদরকে পরবর্তীতে মুদ্রাস্ফীতি সূচক বা Cost Inflation Index অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়। এর ফলে করযোগ্য লাভ নিরূপণ করা সহজ হয় এবং প্রকৃত লাভ অনুযায়ী কর দিতে হয়।

img

আগের নিয়ম অনুসারে যদি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সোনা ৩৬ মাসের মধ্যে বিক্রি করা হতো, তাহলে সেটি ধরা হতো স্বল্পমেয়াদি সম্পদ । এ ক্ষেত্রে লাভ অনুযায়ী কর দিতে হতো ব্যক্তির আয়করের স্ল্যাব অনুসারে।

img

আর যদি ৩৬ মাসের বেশি সময় ধরে রাখা হতো, তবে সেটি ধরা হতো দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ এবং এর ওপর ২০% হারে কর ধার্য হতো। তবে সেখানে মুদ্রাস্ফীতির সূচক সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু ২০২৪ সালের Finance (No. 2) Act, 2024 কার্যকর হওয়ার পর থেকে নিয়ম বদলেছে।

img

নতুন নিয়ম অনুযায়ী যদি সোনা ২৪ মাসের বেশি সময় ধরে রাখা হয়, তাহলে সেটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে করের হার নির্দিষ্ট— ১২.৫%, এবং আর কোনও সূচক সুবিধা নেই। আর যদি ২৪ মাসের মধ্যেই বিক্রি করা হয়, তাহলে লাভ ধরা হবে স্বল্পমেয়াদি এবং কর ধার্য হবে আয়করের স্ল্যাব অনুযায়ী।

img

উত্তরাধিকারসূত্রে সোনা পাওয়ার জন্য আপনাকে কোনও কর দিতে হয় না। কর কেবল তখনই প্রযোজ্য, যখন আপনি সোনা বিক্রি করেন এবং সেখানে লাভ অর্জিত হয়।

img

নতুন আইন অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি লাভের কর ব্যবস্থা আগের তুলনায় সরল হয়েছে। যদিও সূচক সুবিধা আর নেই, তবে স্থির হার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় অনেকের জন্য এটি স্বস্তিদায়ক হতে পারে।